অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে গোপন ভিডিও, গ্রেফতার ২

SHARE

নোয়াখালীর সদরে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণের অভিযোগে দুজন গ্রেফতার। ছবি: ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি)

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),নোয়াখালী প্রতিনিধি,সোমবার, ২২ জানুয়ারি ২০২৪ : নোয়াখালীর সদরে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বিবস্ত্রের পর ছবি ও গোপন ভিডিও ধারণ করে তা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। এ সময় চাঁদার টাকা ও স্বর্ণের দুলসহ দুজনকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।

Advertisement

শনিবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে গ্রেফতার আসামিদের বিচারিক আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।


এর আগে শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে উপজেলার নেয়াজপুর ইউনিয়নের দেবীপুর গ্রামের অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

Advertisement


গ্রেফতাররা হলেন- উপজেলার নেয়াজপুর ইউনিয়নের দেবীপুর গ্রামের হারুনের ছেলে আফনান হোসেন শুভ (২০) ও একই গ্রামের আহম্মদ উল্যার ছেলে রহুল আমিন (৩৫)।
পুলিশ জানায়, ২০২৩ সালের ৩ ডিসেম্বর রাতে ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূর ছেলে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর ওই গৃহবধূ পূর্ব পরিচিত অপর ভুক্তভোগী পল্লী চিকিৎসকে দোকান বন্ধ করে ফেরার পথে তার বাড়িতে ওষুধ দিয়ে যেতে বলেন। রাতে ওই চিকিৎসক ফার্মেসি বন্ধ করে যাওয়ার পথে ওই গৃহবধূর ঘরে ওষুধ দিয়ে বের হয়ে যাওয়ার সময় আফনান হোসেন শুভ ও রুহল আমিনসহ কয়েকজন তার গতিরোধ করেন। পরে তারা তাকে ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ওই গৃহবধূর ঘরে নিয়ে মারধর করেন। একপর্যায়ে চিকিৎসক ও ওই গৃহবধূকে হুমকি ধমকি দিয়ে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বিবস্ত্র করে মোবাইলে ছবি ও ভিডিও ধারণ করা হয়।
মোবাইলে ধারণ করা সেই ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন ওই বখাটেরা। এভাবে ভিডিও ছেড়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে নগদ চার লাখ ১১ হাজার টাকা ও তিন আনা স্বর্ণের কানের দুল নিয়ে যান তারা। এরপর আরও টাকা দাবি করলে ভুক্তভোগী চিকিৎসক এ বিষয়ে আইনি সহযোগিতার জন্য পুলিশ সুপারের কাছে একটি অভিযোগ করেন।

Advertisement


জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজিম উদ্দিন আহমেদ জানান, অভিযোগের পর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল আসামিদের গ্রেফতারে অভিযানে নামে। শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে উপজেলার দেবীপুর গ্রাম থেকে আসামি শুভ ও রুহুল আমিনকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে দুটি মোবাইল, ১০ হাজার টাকা ও এক জোড়া স্বর্ণের দুল উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতার আসামিদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অপর আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।