ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার প্রতিনিধি ,বুধবার, ১৭ জানুয়ারি ২০২৪ : সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে সৌদি আরব থেকে দুস্থ-অসহায়দের জন্য আসা দুম্বার মাংস খাওয়ার অভিযোগ উঠেছে ইউপি চেয়ারম্যানদের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে জানেন না খোদ ইউপি সদস্যরাও।
Advertisement
বিতরণের তালিকা অনুযায়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও ৯ ইউপি চেয়ারম্যানসহ প্রত্যেকের নামে ২ কার্টন করে মোট ২৪ কার্টন (৪৮০ কেজি) দুম্বার মাংস বরাদ্দ পাওয়া গেছে। আর এগুলো ইউপি সদস্যদের সমন্বয়ে দুস্থ-অসহায় পরিবারে বিতরণের কথা থাকলেও এ বিষয়ে কোনো খোঁজই পাননি বলে জানান তারা।
দোহালিয়া ইউপি সদস্য শফিকুর রহমান, জিয়াউল ইসলাম, আব্দুল করিম, সুলতান আহমদ, মোহন মালা ও মিরা রানী নাথ জানান, আগত দুম্বার মাংসের খোঁজ আমরা পাইনি। এভাবে প্রতি বছর আসা দুম্বার মাংস কার পেটে যায় তা আমাদের বোধগম্য নয়। লক্ষ্মীপুরের ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলী, দোয়ারা সদরের ইউপি সদস্য কামরুল ইসলাম, আব্দুর রাজ্জাকও একই কথা জানান।
লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান সোহেল আহমদ মিন্টু বলেন, দুম্বার মাংস এসেছে কিনা আমার জানা নেই।
এ বিষয়ে দোয়ারাবাজার উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) আম্বিয়া আহমদ বলেন, দরিদ্র ও দুস্থদের জন্য প্রতি বছর দুম্বার মাংস পাঠায় সৌদি সরকার। তালিকা অনুযায়ী সেগুলো দুস্থ-অসহায় ও এতিমদের মাঝে বিতরণের নির্দেশ দেওয়া আছে।
Advertisement
উপজেলা পরিষদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বরাদ্দ অনুযায়ী, ১৫ জানুয়ারি এ উপজেলায় ২৪ কার্টন মাংস আসে। প্রতি কার্টনে ২০ কেজি করে ২৪ কার্টনে ৪৮০ কেজি মাংস ছিল। ওই রাতেই উপজেলার ৯ ইউনিয়নে ২ কার্টন করে পাঠানো হয়।
জানতে চাইলে অভিযোগ অস্বীকার করে লক্ষ্মীপুর ইউপি চেয়ারম্যান প্রভাষক জহিরুল ইসলাম বলেন, দুম্বার মাংস পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা বিতরণ করা হয়েছে। যেসব সদস্য আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন তারা আমার প্রতিপক্ষ।
দোহালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শামীমুল ইসলাম শামীম বলেন, ইউপি সদস্যরা তাদের নিজ হাতে এগুলো বিতরণ করেছেন।
দোয়ারা সদর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদ বলেন, দুম্বার গোস্ত হঠাৎ এসেছে বলে তড়িঘড়ি করে যেসব সদস্যকে কাছে পেয়েছি তাদের বিতরণ করতে দিয়েছি।
Advertisement
ইউপি চেয়ারম্যানরা নিজেদের মাঝে মাংস ভাগ করে নেওয়ার বিষয়ে পিআইও আম্বিয়া আহমদ বলেন, জনপ্রতিনিধিরা তাদের এলাকার দুস্থদের মাঝে বিতরণ করতে মাংস নিয়েছেন। তবে বিতরণে কোনো অনিয়ম হলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।