২০১১ সালে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে উত্তীর্ণ পুল শিক্ষকদের নিয়োগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত নতুন করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ না করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
২৫শ’ শিক্ষকের করা ৭২টি রিট আবেদনের দীর্ঘ শুনানি শেষে তা নিষ্পত্তি করে বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আজ আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম, শেখ মোহাম্মদ মুরশেদ, সিদ্দিক উল্লাহ মিয়া ও মো. খায়রুল আলম। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমাতুল করীম।
আইনজীবী মুরশেদ সাংবাদিকদের জানান, ২০১১ সালের আগস্ট মাসে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেয়। এ বিজ্ঞপ্তির বিপরীতে ১১ লাখ প্রার্থী আবেদন করেন।
লিখিত এবং মৌখিক পরীক্ষা শেষে ২০১২ সালের ১২ আগস্ট ২৭ হাজার ৭২০ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হন। এর মধ্যে ১২ হাজার ৭০১ জনকে নিয়োগ দেয় সরকার। বাকীদের পুল শিক্ষক ৭ দিন থেকে ৬ মাসের জন্য কোটার মাধ্যমে নিয়োগ দেন।(পুল শিক্ষকরা প্রতিমাসে ৬ হাজার টাকা সম্মানী পান, তাদের কোনো ছুটি নেই এবং তাদের নিয়োগ সাময়িক)।
এর মধ্যে ২০১৪ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর নতুন করে সহকারী শিক্ষক পদে আবার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেন। উক্ত বিজ্ঞপ্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন পুল শিক্ষকরা। এ আবেদনের প্রেক্ষিতে একই সালের ১৯ অক্টোবর হাইকোর্ট বিজ্ঞপ্তি স্থগিত করে রুল জারি করেন। বুধবার এ রুল নিষ্পত্তি করে রায় দেন।
আইনজীবী মুরশেদ আরো জানান, প্রায় ৭২টি রিট ছিলো। এর মধ্যে আবেদনকারী দুই থেকে আড়াই হাজার হতে পারে। হাইকোর্ট এসব আবেদনকারী পুল শিক্ষকদের নিয়োগ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। আর এদের নিয়োগের আগে নতুন করে কোনো নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি না দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।