মনোনয়ন বঞ্চিতরা বলছেন, আমাদের চেয়ারম্যান এক-দুজনের সঙ্গে (নেগোসিয়েশন) আলাপ-আলোচনা করে হোল্ড পার্টি টায়ার্ডকে না জানিয়ে তিনি এককভাবে করেছেন। উনি যদি বলেন, আমরা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলাপ করেছি। তাহলে এটা সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর, মিথ্যা ও বানোয়াট।
এরপরই শুক্রবার সব পদ-পদবি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয় প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ ও সুনীল শুভরায়কে। আর এর প্রতিক্রিয়ায় জি এম কাদের ও মুজিবুল হক চুন্নুর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয় দেশের কয়েক জায়গায়। নির্বাচন ঘিরে দলের শীর্ষ দুই নেতার বিরুদ্ধে অদূরদর্শিতা ও আর্থিক অস্বচ্ছতার অভিযোগ তুলেছেন শুভরায়।
তিনি বলেন, দলের মহাসচিব বা যারা সিনিয়র তারা এটা ডিল করেছেন। তাদের অপরিপক্বতা, অদূরদর্শিতা অথবা তাদের লোভ; বাণিজ্যিক বাসনা। এর কারণে এই বিপর্যয়টা ঘটেছে। ১৮শ’ ফরম বিক্রি করেছেন। সেই হিসাবে দাম পড়ে ৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা। তো সেই টাকাটা কি করেছেন।
Advertisement
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শনিবার বনানী কার্যালয়ের সামনে চুন্নুর পক্ষে মোটরসাইকেল মহড়া দেয় একদল যুবক। এরপরই কার্যালয়ে প্রবেশ করেন জি এম কাদের। দলটির মহাসচিব বলছেন, শৃঙ্খলাভঙ্গ করায় দুই নেতাকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে তারা সব বক্তব্য রেখেছেন পার্টির শৃঙ্খলার বিরুদ্ধে। যে ঘটনাগুলো ঘটেছে সেসবের পেছনে এই দুজনের নিয়ন্ত্রকের একটা ভূমিকা ছিল। যার জন্য চেয়ারম্যান বিশেষ ক্ষমতা বলে এই ব্যবস্থা নিয়েছে।
নির্বাচনের দিন প্রার্থীদের কোনো খোঁজখবর না নেয়ার অভিযোগেরও জবাব দেন চুন্নু। তিনি বলেন, চেয়ারম্যানও ক্যান্ডিডেট, মহাসচিবও ক্যান্ডিডেট। তাদের এমন কোনো কথা বলা হয়নি প্রার্থী তুমি হবা, ডেইলি আমি খবর নেব। যিনি প্রার্থী, ইলেকশন করেন নিজের ফোন ধরার কোনো সুযোগ নেই। আর যারা ইলেকশন করেনি, ভোট নেই; সে তো ফোন করতে চাইবেই। তার ফোন ধরার তো কোনো যৌক্তিকতা নেই।
Advertisement
তবে হুট করে দুই সিনিয়র নেতার অব্যাহতি নিয়ে ভিন্নমত থাকলেও তেমন মুখ খুলছেন না ভোটে জয় পাওয়া ১১ এমপি। যাদের একজন রুহুল আমিন হাওলাদার। তিনি বলেন, পার্টি থেকে কেউ চলে যাক এটা কাঙ্ক্ষিত নয়। আমি একটু ভেবে দেখি কেন এমন হয়, কি জন্য হয়। এটা ভাবার যথেষ্ট কারণ আছে।এবারের নির্বাচনে জাতীয় পার্টির শোচনীয় ফলাফল নেপথ্যের কারণ খুঁজতে আলোচনা হবে দলের ভেতরে।