দেশের বিভিন্ন এলাকায় নির্বাচনী জনসভায় সরকারের উন্নয়ন এবং আগামী দিনের পরিকল্পনার কথা জানাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি সংগৃহীত
ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি ,রোববার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সোমবার (১ জানুয়ারি) ধানমন্ডির কলাবাগান মাঠে জনসভা করবে আওয়ামী লীগ। দলটিকে ২০ শর্তে নির্বাচনি জনসভার অনুমতি দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
Advertisement
ওই দিন বেলা ২টায় জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) ডিএমপি কমিশনারের পক্ষে উপ-পুলিশ কমিশনার (অপারেশনস্) আবু ইউসুফের সই করা এক অফিস নথি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজকে পাঠানো হয়।
এতে বলা হয়, ২৮ ডিসেম্বর দাখিলকৃত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নিম্নবর্ণিত শর্তাবলী যথাযথভাবে পালন সাপেক্ষে ধানমন্ডির কলাবাগান মাঠে নির্বাচনি জনসভার অনুমতি পেয়েছে আওয়ামী লীগ।
(১) (২) এই অনুমতিপত্র স্থান ব্যবহারের অনুমতি নয়, স্থান ব্যবহারের জন্য অবশ্যই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের থেকে অনুমোদন নিতে হবে। স্থান ব্যবহারের অনুমতিপত্রে উল্লিখিত শর্তাবলী যথাযথভাবে পালন করতে হবে
(৩) অনুমোদিত স্থানেই নির্বাচনি জনসভার যাবতীয় কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।
(8) কোনো অবস্থাতেই অনুমোদিত স্থানের বাইরে জমায়েত করা যাবে না।
(৫) নিরাপত্তার জন্য নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পর্যাপ্ত সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক (দৃশ্যমান আইডি কার্ডসহ) নিয়োগ করতে হবে।
(৬) শব্দ দূষণ প্রতিরোধে সীমিত আকারে মাইক/শব্দযন্ত্র ব্যবহার করতে হবে, কোনোক্রমেই অনুমোদিত স্থানের বাইরে মাইক/শব্দযন্ত্র ব্যবহার করা যাবে না।
(৭) অনুমোদিত স্থানের বাইরে প্রজেক্টর স্থাপন করা যাবে না।
(৮) আজান, নামাজ ও অন্যান্য ধর্মীয় সংবেদনশীল সময় মাইক/শব্দযন্ত্র ব্যবহার করা যাবে না।
(৯) ধর্মীয় অনুভূতির ওপর আঘাত আনতে পারে এমন কোনও বিষয়ে ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন, বক্তব্য প্রদান বা প্রচার করা যাবে না। কোনো অবস্থাতেই মূল সড়কে যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না।
১০) নির্বাচনি জনসভার কার্যক্রম ব্যতীত মঞ্চকে অন্য কাজে ব্যবহার করা যাবে না।
(১১) (১২) আইন-শৃঙ্খলা পরিপন্থি ও জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় এমন কার্যকলাপ করা যাবে না।
Advertisement
(১৩) রাষ্ট্রবিরোধী কোনো কার্যকলাপ ও বক্তব্য দেয়া যাবে না।
(১৪) উসকানিমূলক বক্তব্য প্রদান বা প্রচারপত্র বিলি করা যাবে না।
(১৫) নির্বাচনি জনসভার ব্যানারের আড়ালে কোনো লাঠিসোঁটা বা রড সদৃশ বস্তু ব্যবহার করা যাবে না।
(১৬) আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ও কোনো বিরূপ পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে আয়োজনকারী কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবেন।
(১৭) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন-২০২৪ এর আচরণ বিধিমালা যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে।
(১৮) বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন এর স্মারক নং- ১৭.০০.০০০০.০৩৪.৩৬.০১৮.২৩(অংশ-৬)-৭৭৬ তারিখ-১২/১২/২০২৩খ্রিঃ এবং জননিরাপত্তা বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্মারক নং-৪৪.০০.০০০০.০৭৯.০১.০০২.২০২৩-৫৫২ তারিখ-১৪/১২/২০২৩খ্রিঃ এর বিজ্ঞপ্তি যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে।
(১৯) উল্লিখিত শর্তাবলী যথাযথভাবে পালন না করলে তাৎক্ষণিকভাবে এই অনুমতির আদেশ বাতিল বলে গণ্য হবে।
(২০) জনস্বার্থে কর্তৃপক্ষ কোনও কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে এই অনুমতি আদেশ বাতিল করার ক্ষমতা রাখে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের এ জনসভার অনুমতি চেয়ে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার ও রিটার্নিং অফিসারের কাছে চিঠি দেয়া হয়। ওই দিন ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার ও রিটার্নিং অফিসার সাবিরুল ইসলামের সই করা এক চিঠিতে নির্বাচনের আচরণ বিধিমালা প্রতিপালন এবং নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের নির্দেশনা অনুসরণের শর্তে জনসভা আয়োজনের অনাপত্তি দেয়া হয়।