কারাগারে ১২ বিয়ে করা সেই ডালিয়া (ভিডিও)

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),নরসিংদী প্রতিনিধি ,বৃহস্পতিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩ : অবশেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে ১২ বিয়ে করা কোটালিপাড়ার সেই ডালিয়াকে। বুধবার নরসিংদী জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি যৌতুক মামলায় হাজিরা শেষে আত্মসমর্পণ করতে গেলে শুনানি শেষে আদালত তাকে কারাগারে পাঠায়। বিয়ে করাই যেন ডালিয়ার নেশা। ডালিয়া প্রথমে বিয়ে করেন, এরপরই কাবিনের টাকার জন্য স্বামীদের করেন শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। এভাবেই একে একে ১২টি বিয়ে করে স্বামীদের কাছ থেকে হাতিয়েছেন প্রায় কোটি টাকা। এবার সেই স্বামীদের করা একাধিক মামলায় ডালিয়াকে কারাগারে পাঠিয়েছে নরসিংদীর জেলা আদালত। মামলার কপি ইতোমধ্যে মানবজমিনের হাতে এসেছে। মামলা নম্বর- ৯৭২। মামলার বাদী তার স্বামী এনামুল হক।

Advertisement

এদিন দুপুরে নরসিংদী দায়রা জজ আদালতে প্রবাসী স্বামী এনামুলের করা যৌতুকের মামলায় জেলা জজ মারুফ আহমেদের আদালত জামিন শুনানিতে অংশ নিলে দুই পক্ষের যুক্তি তর্ক শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়। এজাহারে বলা হয়, আসামি ডালিয়া আক্তার সাথী বাদী এনামুলের কাছে ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করেন।

Advertisement

তিনি একজন প্রতারক মহিলা। তিনি বিভিন্ন লোকের সঙ্গে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে মোটা অংকের কাবিনে বিয়ে করেন। বিয়ে করা তার একমাত্র পেশা। এখন পর্যন্ত তিনি মোট ১২টি বিয়ে করেছেন। বাদী পক্ষের আইনজীবী মামুনুর রশীদ মানবজমিনকে বলেন, ডালিয়া ১২টিরও বেশি বিয়ে করে স্বামীদের বিরুদ্ধে মামলা ও নির্যাতন করে টাকা আদায় করতেন। আদালতের নজরে আনলে তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এটি একটি নতুন দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, পুরুষ নির্যাতনেরও বিচার এখন শুরু হয়েছে।

Advertisement

মামলার বাদি এনামুল হক মানবজমিনকে বলেন,  ডালিয়া তার কাছ থেকে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তার প্রবাস জীবনের সকল আয় ডালিয়া হাতিয়ে নিয়েছেন। এ ঘটনায় সাবেক সেনা সদস্য ও ডালিয়ার সাবেক স্বামী আমিনুল ইসলাম সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেন, তার মিথ্যা বিয়ে বাণিজ্যের শিকার হয়ে চাকরি হারিয়েছি। আমার বৃদ্ধ বাবা মারা গেছেন। আমার পুরো পরিবার ধ্বংস হয়ে গেছে ডালিয়ার জন্য। এসময় ডালিয়ার উপযুক্ত বিচার দাবি করেন তিনি। আরেক স্বামী বরিশালে রেজাউল খান বলেন, যৌতুককে মামলার ভয় দেখিয়ে তার মোটরসাইকেল বিআরটিতে গিয়ে মালিকানা পরিবর্তন করে নিজ নামে নিয়ে গেছে ডালিয়া। জোর করে বিয়ে করে ১০ লাখ টাকা কাবিন লিখেছেন। নগদ টাকাও আদায় করেছেন। তিনিও সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন। এবং পাশাপাশি ডালিয়ার বাবার বিরুদ্ধে আইনানুগ শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি করেন ডালিয়ার স্বামী। এ বিষয়ে জানতে ডালিয়ার বাবাকে ফোন দিলে তিনি সাড়া দেননি।