লজ্জার জয়ে শেষ আটে উইন্ডিজ

SHARE

5149অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে লজ্জাজনক জয় পেয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ যুবারা। জিম্বাবুয়ের মূল পর্বে খেলার স্বপ্নভঙ্গ করে শেষ ওভারের নাটকীয় জয় পায় তারা। খেলার মাঠে জিম্বাবুয়ে হারলেও মূলত এই ম্যাচে হার হয় ক্রিকেটের।

জয়ের জন্য শেষ ওভারে ছয় বলে চার রান প্রয়োজন ছিল জিম্বাবুয়ের। বল করতে আসেন কেমু পল। বল করতে এসে বল না করে স্ট্যাম্প ভেঙ্গে দেন তিনি। তবে তার চেয়েও বেশি অবাক করেন তৃতীয় আম্পায়ার আউট ঘোষণা করে। কারণ টিভি রিপ্লেতে পরিষ্কার দেখা গিয়েছে রিচার্ড এনগারাভা ক্রিজের মধ্যেই ছিলেন।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ যুবাদের দেয়া ২২৭ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই করে জিম্বাবুয়ে। তবে দলীয় ৩৬ থেকে ৪৫ করতে দুই উইকেটে হারিয়ে চাপে পড়ে যায় তারা। এরপর তৃতীয় উইকেট জুটিতে ওপেনার শাউন স্নাইডারকে নিয়ে ৫১ রানের জুটি গড়ে প্রাথমিক চাপ সামাল দেন রায়ান মুরারি। এরপর উইলিয়াম মাসিঙ্গিকে নিয়ে ৪৬ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের শক্ত ভিত গড়ে দেন মুরারি।

এরপর ৪ রান তুলতে ৩ উইকেট হারালে আবার চাপে পড়ে যায় জিম্বাবুয়ে। তবে ওয়েসলি মাধিভেরিকে নিয়ে ৬২ রানের দারুণ এক জুটি গড়ে খেলা জমিয়ে তোলেন অ্যাডাম কাফি। তবে দলীয় ২০৯ রানে কাফিকে আউট করে আবার খেলার নিওন্ত্রনে চলে আসে ক্যারিবীয়রা। এরপর ২১৭ রানে জয় থেকে ১০ রান দূরে আরও দুই উইকেট হারিয়ে কার্যত ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে জিম্বাবুয়ে। তবে ৪৯ তম ওভারের প্রথম বলে চার মেরে খেলা আবার জমিয়ে দেন মাতিগিমু।

এর আগে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালোই করে তারা। উদ্বোধনী জুটিতে ৪২ রান যোগ করেন গিড্রন পোপ ও টেভিন ইলমাচ। এরপর ছোট ছোট বেশ কিছু জুটিতে শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২২৬ রান করে তারা।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬১ রান করেন শামার স্প্রিংগার। ৭১ বলে ৭টি চার এবং ২টি ছক্কার সাহায্যে এই রান করেন তিনি। এছাড়া ইলমাচ ৩১ ও পোপ ৩০ রান করেন। জিম্বাবুয়ে যুবাদের পক্ষে রুগারি মাগারিরা ২৮ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নেন। এছাড়া ওয়েসলি মাধিভেরি পান ২টি উইকেট।