ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি ,রোববার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩ : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক মিত্র জাতীয় পার্টিকে শেষ পর্যন্ত কয়টি আসন দিচ্ছে আওয়ামী লীগ, সে বিষয়টি জানার জন্য বিকেল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বললেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
Advertisement
রোববার (১৭ ডিসেম্বর) ধানমন্ডিতে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জাতীয় পার্টির সঙ্গে আমাদের আলোচনা চলছে। এখন পর্যন্ত কোনো অশোভন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি। তবে চূড়ান্ত বিষয় জানার জন্য বিকেল ৪টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় রোববার বিকাল ৪টা পর্যন্ত। এই সময়ের পরে আর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সুযোগ নেই।
ওবায়দুল কাদের বলেন, তাদের সাথে (জাতীয় পার্টি) আমাদের সমঝোতা আছে। কোনো প্রকার অশোভন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি। শুধু ভাগাভাগির বিষয় না আমরা নির্বাচনসহ সামগ্রিক রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। বিএনপি নির্বাচন প্রতিরোধের ডাক দিয়েছে, সেখানে যেসব রাজনৈতিক দল নির্বাচন করছে তাদেরকে ঐক্যবদ্ধ থাকার বিষয়টিও আলোচনা স্থান পেয়েছে।
Advertisement
আওয়ামী লীগ কতগুলো আসনে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নিচ্ছে, সেজন্য বিকেল চারটা পর্যন্ত অপেক্ষা করার পরামর্শ দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমি যতটুকু জানি আমাদের দলের পক্ষ থেকে একটা নির্দিষ্টসংখ্যক আসনে মীমাংসা বা সমঝোতায় পৌঁছাতে পারি, তেমন ধারণা জাতীয় পার্টিকে দেওয়া হয়েছে। তাদেরও একটা চাওয়া আমাদের কাছে আছে। তাদের চাওয়া থাকতেই পারে। আমাদেরও দলেরও একটা সামর্থের ব্যাপার আছে, সেটা আমাদের নিজেদের সিদ্ধান্তের বিষয়।
জাতীয় পার্টিকে যেসব আসনে আওয়ামী লীগ ছাড় দেবে, সেসব আসনে নিজেদের প্রার্থী তুলে নেওয়া হবে বলেও জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
তিনি বলেন, নৈতিকভাবেই প্রার্থিতা তুলে নেওয়া উচিত।
নির্বাচনে ২৮টি দল অংশ নেওয়ার পরও বিএনপি এ নির্বাচনকে ভাগাভাগীর নির্বাচন বলায় এর কঠোর সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকার পদত্যাগ করে পৃথিবীর কোনো গণতান্ত্রিক দেশে নির্বাচন হয়? গণতান্ত্রিক দেশগুলোতে যেভাবে নির্বাচন হয়, সেভাবেই নির্বাচন হবে। কাজেই এখানে পদত্যাগের বিষয় কেন আসে?
Advertisement
জাতীয় পার্টি নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে কিনা এমর প্রশ্নের উত্তরে ওবায়দুল কাদের বলেন, এখন পর্যন্ত জাতীয় পার্টির নির্বাচনের থেকে সরে যাওয়ার কোনো আশঙ্কা তারা দেখছেন না।