টাকা বেশি দিলে ফেসবুকেই মিলছে ঢাকা-কক্সবাজার ট্রেনের টিকিট (ভিডিও)

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),কক্সবাজার প্রতিনিধি,মঙ্গলবার, ১২  ডিসেম্বর ২০২৩ : দীর্ঘ ৫৩ বছরের অপেক্ষা শেষে পর্যটন নগরীর সঙ্গে রেল যোগাযোগ শুরু হয়েছে। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত টিকেটের জন্য কেউ কাউন্টারে আবার কেউ অনলাইনে দীর্ঘ চেষ্টা করেও ব্যর্থ হচ্ছেন। তবে বাড়তি টাকা দিলেই কালোবাজারিতে (ফেসবুকে) মিলছে টিকেট। এ নিয়ে চরম হতাশ ভ্রমণকারীরা। কালোবাজারি বন্ধের জোর দাবি তাদের।

Advertisement

জানা যায়, সকাল আটটা থেকে মিলবে টিকিট, তাই অনেক আগে থেকেই কক্সবাজার রেলস্টেশনে লাইনে দাঁড়িয়েছেন মানুষ। তবে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়েও মিলছে না কাঙ্ক্ষিত টিকিট। একই অবস্থা অনলাইনেও।

কর্তৃপক্ষের হিসাব অনুসারে, ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত কক্সবাজার থেকে ঢাকা রুটে সব ধরনের টিকিট শেষ। তাই স্টেশনে এসে টিকিট না পেয়ে হতাশ। অথচ, শুরুর দিন থেকে এই ট্রেন নিয়ে বাড়তি আগ্রহ তৈরি হয়েছে পর্যটন শহরে। বেড়েছে চাহিদা।

যাত্রীদের অভিযোগ, ৮টা বাজার সঙ্গে সঙ্গে দুই মিনিটের মধ্যে টিকিট শেষ হয়ে যায়। কালোবাজারির মত কিছু একটা আছে, তা নাহলে ৭০০ থেকে ৮০০ টিকিট দুই মিনিটে কীভাবে শেষ হয়ে যায়। বিষয়টা খতিয়ে দেখা দরকার বলে জানান তারা।

অনলাইন এবং কাউন্টারে টিকিট না মিললেও বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপে বাড়তি দামে টিকিট বিক্রির অফার দেয়া হচ্ছে। যার কিছু প্রমাণ আসে চ্যানেল24 এর হাতে। অভিযোগ রয়েছে, একটি চক্র কালোবাজারে টিকিট বেচাকেনা করছে। যার সাথে জড়িত রেলের কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীও।

Advertisement

তবে রেল কর্মকর্তারা বলছেন, টিকিট সিস্টেম শতভাগ অনলাইন। তাই কাউন্টারে না পাওয়াটাই স্বাভাবিক। তবে কালোবাজারি হচ্ছে কিনা খতিয়ে দেখার কথা বলেন তারা।

স্টেশন এলাকার তোফায়েল আহমেদ বলেন, পলাশ মিয়া নামে একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, উনিও বলছেন যে; কক্সবাজার-ঢাকা যাওয়ার টিকিটের প্রয়োজন হলে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করুন। তাছাড়া অনেক ফেসবুক আইডিতে এখন টিকিট বেচাকেনা হচ্ছে।

কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশনের বুকিং কর্মকর্তা নেজাম উদ্দিন বলেন, ফেসবুকের মাধ্যমে যদি কেউ টিকিট বিক্রি করে থাকেন, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশনের স্টেশন মাস্টার গোলাম রাব্বানী বলেন, অসৎ উদ্দেশ্যে কেউ কালোবাজারির সঙ্গে জড়িত থাকলে এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।

Advertisement

উল্লেখ্য, পহেলা ডিসেম্বর থেকে শুরু হয় ঢাকা-কক্সবাজার রুটে বাণিজ্যিক ট্রেন চলাচল। এখন প্রতিদিন একটি ট্রেন চললেও; পহেলা জানুয়ারি চালু হবে আরও একজোড়া। প্রতিটি ট্রেনে আসন সংখ্যা ৭৮০।