গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

SHARE

5123বাংলাদেশ ‘ফেবারিট’ নয় বলে হুঙ্কার দিয়েছিল নামিবিয়া। এমনকি স্বাগতিকদের হারিয়েই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হবে তারা। অথচ তার একদিন পরই সে কথার ছিটেফোঁটাও পাওয়া গেল না। নামিবিয়াকে উড়িয়ে দিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই কোয়ার্টার ফাইনালে উঠলো বাংলাদেশ।

মঙ্গলবার ক্ষুদে টাইগারদের জয়ের ভিত গড়ে দেন মূলত স্পিনাররা। মাত্র ৬৫ রানেই নামিবিয়াকে গুটিয়ে দেয় তারা। জবাবে ২০৪ বল বাকি থাকতেই দুই উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নেয় বাংলাদেশের যুবারা।

নামিবিয়ার দেওয়া ৬৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের। ফ্রিটজ কোয়েটজির বোলিং তোপে পড়ে দুই ওপেনারকে হারিয়ে চাপে পড়ে তারা। স্কোরবোর্ডে কোনো রান না যোগ করেই সাজঘরে ফিরে যান ওপেনার পিনাক ঘোষ। কোয়েটজির বলে লরেন্সের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন তিনি। তার পরের ওভারেই উইকেটরক্ষক জেন গ্রিনের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন আরেক ওপেনার সাইফ হাসান।

তবে তৃতীয় উইকেট জুটিতে জয়রাজ শেখকে সঙ্গে নিয়ে দারুণ এক জুটি গড়েন আগের দুই ম্যাচের নায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ৫৩ রানের জুটি গড়ে অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন এই দুই টাইগার। শেষ পর্যন্ত ব্যাট করে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৪ রান করেন জয়রাজ। ৫৫ বলে ৫টি চারের সাহায্যে এই রান করেন তিনি। এছাড়া ২৩ বলে ১৪ রান করে অপরাজিত থাকেন শান্ত।

এর আগে মঙ্গলবার সকালে কক্সবাজার শেখ কামাল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস জিতে নামিবিয়াকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠান বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। ব্যাটিং করতে নেমে শুরু থেকেই চাপে পড়ে নামিবিয়া। স্পিনারদের ঘূর্ণিতে রীতিমত দিশেহারা হয়ে পড়ে তারা। তবে নামিবিয়ার বিপর্যয়ে শুরুটা এনে দেন পেসার সাইফুদ্দিন। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে নাজমুল হোসেন শান্তর দুর্দান্ত ক্যাচে সাজঘরে ফেরান ফর্মে থাকা ওপেনিং ব্যাটসম্যান লফটি-এটনকে।

এক ওভার পরে নিজেদের ভুলে বিপর্যয় আরো বাড়িয়ে তোলে নামিবিয়া। ওভার থ্রো থেকে রান নিতে গিয়ে উইকেটরক্ষক জাকির হোসেনের সরাসরি থ্রোতে আউট হন জেন গ্রিন। ১০ রানে দুই উইকেট হারানোর পর ওপেনার নিকো ড্যাভিনকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধের চেষ্টা করেন লোহান লরেন্স।

১০ ওভার শেষে স্পিনারদের আক্রমণে আনেন অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। দুই ওভার পর থেকেই শুরু হয় তাদের ভেলকি। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট তুলে মাত্র ৬৫ রানেই গুটিয়ে দেন নামিবিয়াকে। আর নামিবিয়ার উইকেট বৃষ্টিতে একে একে সামিল হলেন সব স্পিনারই। স্পিনারদের হয়ে শুরুটা করেন শাওন গাজী। এরপর মিরাজ, আরিফুল ইসলাম জনি ও সাঈদ সরকার।