ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি,শুক্রবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ : এমনিতেই নিত্যপণ্যের বাজার চড়া। তার ওপর ২ দিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে। এই অজুহাতে আরও বেড়েছে বিভিন্ন শাক-সবজির দাম। কিছুটা বাড়তি মুরগির দরও। তবে খানিকটা স্বস্তি গরুর মাংসে, বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ টাকায়।
Advertisement
প্রকৃতিতে শীতের আমেজ। এর মাঝেই ২ দিন ধরে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি। এমন শীতল আবহাওয়াতেও গরম পণ্যদ্রব্যের বাজার। এই সময়টায় তাজা সবজি যখন ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে থাকার কথা, তখন বেশিরভাগেরই দাম বাড়তি।
বিক্রেতাদের দাবি, বৃষ্টিতে কিছুটা কমেছে পণ্য সরবরাহ। তাই পেঁয়াজ, মরিচ ও আলুর চড়া বাজারে মূল্য বেড়েছে আরও। প্রায় সবধরনের চালের দামই কেজিতে বৃদ্ধি পেয়েছে ১ থেকে ২ টাকা। সেই সঙ্গে কিছুটা বাড়তি ব্রয়লার ও দেশি মুরগির দামও।
এক সবজি বিক্রেতা বলেন, শাক-সবজি প্রায় নাগালের ভেতরেই রয়েছে। আগের মৌসুমের চেয়ে অবশ্য দর কিছুটা বাড়তি আছে। তবে সাধ্যের মধ্যেই রয়েছে।
Advertisement
দ্রব্যমূল্যের চড়া দামে দরিদ্র থেকে শুরু করে মধ্যবিত্তরাও চাহিদা পূরণে অক্ষমতা প্রকাশ করছেন। সাধারণ মানুষ বলছেন, ব্যবসায়ীরা নিজেদের স্বার্থে বিভিন্ন পণ্যের দর বৃদ্ধি করছেন। দ্রব্যমূল্য বেড়ে গেলে তা আর নিয়ন্ত্রণে আসে না।
এক ক্রেতা বলেন, শাক-সবজি থেকে শুরু করে মাছ, মাংস- সবকিছুরই দাম বেশি। এগুলো সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। আরেক ক্রেতা বলেন, গরিবের জন্য এটা অনেক দর। আরেকটু কমলে সবার জন্য ভালো হতো।
এতকিছুর মধ্যেও স্বস্তির খবর- গরুর মাংসের ৬৫০ টাকা দরে দাম নির্ধারণ। সরকারের বেঁধে দেয়া দরেই বিক্রি হচ্ছে আমিষ জাতীয় এই খাদ্যপণ্যটি। এতে কিছুটা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা। এক বিক্রেতা বলেন, গরুর মাংসের দর ৬৫০ টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার। এতে আমাদের ব্যবসায়ী কমিটি সায় দিয়েছে। ফলে সেই দরে বিক্রি করছি আমরা।
Advertisement
দর বেঁধে দেয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন ক্রেতারাও। এক ক্রেতা বলেন, বাজার মনিটরিং ভালো হলে, ম্যানেজমেন্ট ঠিক থাকলে এবং সিন্ডিকেট ভাঙলে গরুর মাংস ৬০০ টাকাতেও খাওয়া যাবে।
টালমাটাল নিত্যপ্রয়োজনীয় বাজার নিয়ে সবসময় মানুষের মধ্যে থাকে উদ্বেগ। সব প্রকার সিন্ডিকেট ভেঙে পণ্যদ্রব্যের বাজার স্থিতিশীল রাখার দাবি তাদের।