ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),বিশেষ প্রতিনিধি,শুক্রবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ : বছরজুড়ে বিএনপি ও তার শরিক দলগুলোকে নির্বাচনে আসার আহ্বান জানিয়ে এসেছে নির্বাচন কমিশন। সবশেষ তফসিল ঘোষণার দিনও সমঝোতার বিষয়ে তাগিদ দিয়েছিলেন খোদ প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তবে সে ডাকে সাড়া দেয়নি বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো।
Advertisement
আর বিএনপির নির্বাচনে আসার সুযোগ আপাতত নেই। এবার আনুষ্ঠানিকভাবেই নির্বাচন কমিশন সচিব সাফ জানিয়ে দিলেন, মনোনয়ন পত্র দাখিলের সময়সীমা আর বাড়ছে না।
নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেন, ‘মনোনয়নপত্র জমার সময় আর বাড়ানো হচ্ছে না। বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টায় সময় শেষ হয়েছে। নির্বাচন কমিশন মনে করে, এ সময়সীমা বাড়ানোর আর কোনও সুযোগ নেই।’
এরমধ্যে কয়েকজন নির্বাচন কমিশনার অবশ্য বলেছিলেন, বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবে জানালে তফসিল পরিবর্তন বিবেচনা করা হতে পারে। তবে দলটির দিক থেকে সেরকম কোনো সাড়া আসেনি।
সাধারণত বড় কোনো ঘটনা ছাড়া নির্বাচন কমিশন তফসিল পরিবর্তন করে না। একাদশ সংসদ নির্বাচনে ৪৬ দিন সময় দিয়ে তফসিল ঘোষণা করার পর এক সপ্তাহ পিছিয়ে নিয়ে ভোটের তারিখ পুনঃনির্ধারণ করা হযেছিলো। তাতে ৩৯টি দল ভোটে অংশ নেয়।
নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টায় মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় শেষ হয়েছে। এর আগে বিকাল ৩টায় সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল অন্য নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে বসেন। বিকালে জনপ্রশাসন সচিব, সকালে জননিরাপত্তা বিভাগ সচিব, আইজিপির সঙ্গে ইসির বৈঠক হয়।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, মনোনয়পত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ৩০০ সংসদীয় আসনে দুই হাজার ৭৪১জন মনোনয়নপত্র দাখিল। নিবন্ধিত ৪৪টি দলের মধ্যে ৩০টি তাদের প্রার্থী দিয়েছে।
আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমার শেষ সময় ছিলো ৩০ নভেম্বর, বাছাই ১-৪ ডিসেম্বর ও প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর।
Advertisement
বিএনপিসহ এক ডজন দল ছাড়া ভোট হচ্ছে এবার। আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিসহ ৩০টির মতো দল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে।
এদিকে দল নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় বিএনপির অনেক নেতাই স্বতন্ত্র নির্বাচন করছেন। সবশেষ দলটির ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমর আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে বৃহস্পতিবার ঝালকাঠি-১ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। বুধবারই নাশকতার মামলায় জামিন পেয়ে কারামুক্ত হন তিনি।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে ২০১৪ সালে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন বর্জন করে বিএনপি। ব্যাপক সহিংসতার মধ্যে সেই নির্বাচনে জিতে টানা দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ।
২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি গণফোরামের ড. কামাল হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন করে ভোটে অংশ নেয়। ভোটে ভরাডুবি ঘটে বিএনপির। এরপর কারচুপির অভিযোগ তোলে তারা। সংসদের মেয়াদের শেষ দিকে এসে বিএনপির সংসদ সদস্যরা পদত্যাগ করেন।
এবার ২০১৪ সালের মত একই দাবিতে আন্দোলন করছে বিএনপি। ফিরে এসেছে সংঘাতের পরিবেশ।
আওয়ামী লীগ শুরু থেকে বলছে, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। নির্বাচনী আমেজ শুরু হওয়া থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দলগুলোর মধ্যে সংলাপের ব্যাপারে উদ্যোগী হয়। এ নিয়ে দূতিয়ালিও করেন ঢাকায় দেশটির দূত পিটার হাস। যদিও সেই উদ্যোগ কেনো কাজে আসেনি।
Advertisement
এদিকে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে ক্ষমতাসীন দলের সাকিব আল হাসান, এনামুর রহমান, গোলাম দস্তগীর গাজীসহ বেশ কয়েকজন প্রার্থীকে কারণ দর্শাতে বলেছে কমিশন।