সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের চৌধুরী, আজ (সোমবার) থেকে চট্টগ্রামে সিএনজি অটোরিকশা মিটারে চলার ঘোষণা দিলেও তোয়াক্কা করছে না কোনো চালক। এ কারণে সকাল থেকেই নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে যাত্রীদের সঙ্গে সিএনজি চালকদের বাকবিতণ্ডা করতে দেখা গেছে।
এর আগে সিএনজি চালিত অটোরিকশা মিটারে চলতে বাধ্য করার বিষয়ে সিএমপির পক্ষ থেকে কঠোর পর্যবেক্ষণের ঘোষণা দিলেও কার্যত কোনো পদক্ষেপ চোখে পড়েনি।
মন্ত্রী এবং পুলিশের এ ঘোষণার পর সোমবার সকালে নগরীর দেওয়ানহাট, আগ্রাবাদ,নিউমার্কেট,বহদ্দার হাট, মুরাদপুর,কাজির দেউড়ি, ইস্পাহানি মোড়, টাইগারপাসসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, রাস্তায় প্রচুর পরিমাণে অটোরিকশা চলাচল করছে। যাত্রীরা আগের মতোই ভাড়া নির্ধারণ করে যাচ্ছেন গন্তব্যে। যাত্রীদের কেউ কেউ মিটারের কথা বললেও চালকরা সরাসরি মিটার নেই বলে জানিয়ে দিচ্ছেন।
এবিষয়ে নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (প্রশাসন, অর্থ ও ট্রাফিক) একেএম শহীদুর রহমান বলেন, অটোরিকশাগুলো মিটারে চলছে না তা জানতে পেরেছি। এসএসসি পরীক্ষার্থীদের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে সকাল থেকে অভিযান শুরু করিনি। তবে এবার অভিযানে নামব।
তিনি জানান, মিটারে অটোরিকশা চলাচলে বাধ্য করতে ৫টি টিম গঠন করা হয়েছে। প্রত্যেক টিমে একজন সার্জেন্ট অথবা একজন ট্রাফিক পরিদর্শকের নেতৃত্বে ৮ জন করে সদস্য রাখা হয়েছে। দুপুর ২টা থেকে ৫টি টিম সারা শহরে একযোগে অভিযান পরিচালনা করবে। আমরাও মনিটরিংয়ের জন্য রাস্তায় থাকব। যারা মিটারে যেতে চাইবে না তাদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে।
প্রসঙ্গত, সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) থেকে চট্টগ্রাম নগরীতে মিটারে অটোরিকশা চলাচল বাধ্যতামূলক ঘোষণা করে নগর পুলিশ। এর আগে ৩১ জানুয়ারির মধ্যে সব অটোরিকশায় মিটার সংযোজন করা বাধ্যতামূলক ঘোষণা দেয় সিএমপি।
এদিকে গত রোববার চট্টগ্রাম চেম্বারের এক অনুষ্ঠানে এসে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, চট্টগ্রামে মিটার চালু হওয়ার কথা ছিল নভেম্বরে। অনুরোধ থাকায় সময় বাড়িয়ে ছিলাম। সোমবার থেকে চট্টগ্রামে মিটারে চলবে সিএনজি অটোরিকশা। এর কোনো ব্যত্যয় হবে না। এটিকে আমি কমিটমেন্ট হিসেবে নিয়েছি। চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি। ঢাকায় পেরেছি, এখানে কেন পারবো না ?