ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি,মঙ্গলবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৩ : ১৪ দলের শরিকদের জন্য মাত্র দুটি আসন খালি রেখে প্রার্থী তালিকা দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এ নিয়ে জন্ম নিচ্ছে নানা গুঞ্জন। ওবায়দুল কাদের বলছেন, শরিকদের জন্য আসন ছাড়ের সিদ্ধান্ত হয়নি।
Advertisement
এর মধ্যে একটি আসন ১৪ দলের অন্যতম শরিক দল জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনুর এবং অপরটিতে জাতীয় পার্টির (এরশাদ) এ কে এম সেলিম ওসমান বর্তমান সংসদ সদস্য। সোমবার জাতীয় পার্টি ওই আসনে সেলিম ওসমানকে তাদের প্রার্থী বলে ঘোষণা দিয়েছে।
এছাড়া একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বচনে ১৪ দলীয় জোট ও মহাজোটকে (বিকল্প ধারা, জাতীয় পার্টি) ছেড়ে দেওয়া ৩১টি আসনে নিজেদের প্রার্থী দিয়েছে আওয়ামী লীগ।
আর শরিকরা বলছেন, তারা এখনও আশা ছাড়েননি। তবে ক্ষমতাসীন দলের কোনো কোনো নেতা বলছেন, সময় ফুরিয়ে যায়নি, শরিকদের যুক্ত করে নতুন প্রার্থী তালিকা হতে পারে।
শরিকদের জন্য দুটি আসন খালি রেখে প্রার্থী ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ। দলটির সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, ১৪ দলীয় জোটের শরিকদের জন্য আসন ছাড়ের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, প্রতিপক্ষ যদি বড় জোট করে, তবে আওয়ামী লীগেরও জোট হবে। এর বাইরে প্রয়োজন না থাকলে জোট করবে না আওয়ামী লীগ।
Advertisement
তিনি বলেন, শরিক সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত আমাদের এখনও হয়নি। আমরা এখনও ঠিক করিনি শরিকদের আসলে আমাদের প্রয়োজন আছে কিনা। জোটের বিপরীতে জোট, আমাদের প্রতিপক্ষ যদি বড় জোট করতো, তাহলে তার বিপরীতে আমাদের জোট হতো। তাছাড়া আমরা কেন অহেতুক জোট করতে যাবো?
জোটের প্রার্থীদের গ্রহণযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন আছে আওয়ামী লীগের মধ্যে। তাহলে কি এবার জোটহীন নির্বাচনে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ, এমন প্রশ্নই ঘুরছে জোটের শরিকদের মধ্যে।
জোট নেতারা বলছেন, এটি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি নিয়ে একটি আদর্শিক জোট। তাই নির্বাচনের আগে ও পরেও এই জোট থাকতে পারে। দল ছোট বা বড় সেটি কোনো বিষয় নয়। রাজনৈতিক প্রয়োজনে জোট তৈরি হয়েছিলো, তার প্রয়োজন এখনও ফুরিয়ে যায়নি, এমনটাও দাবি করছেন তারা।
তবে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলির সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক জানিয়েছেন, আগামী দুই একদিনের মধ্যেই বিষয়টি স্পষ্ট হবে। জোটের শরিকদের যুক্ত করে আসতে পারে নতুন প্রার্থী তালিকাও।
জোটের শরিক দলের নেতারাও বলছেন, আওয়ামী লীগ থেকে জানানো হয়েছে দুই একদিনের মধ্যে ১৪ দলের সভা হবে। সেখানে হয়তো সমঝোতা হবে। সেই পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকবেন তারা।
Advertisement
১৫ দল, আট দল পেরিয়ে ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে আওয়ামী লীগ ১৪ দলীয় জোট গঠন করেছিল। পরে ২০০৮ সালের নির্বাচনের সময় ‘মহাজোট’ গড়লেও আওয়ামী লীগের ভাষায়, ১৪ দলই তাদের ‘আদর্শিক জোট’। গত তিনটি নির্বাচন জোটগতভাবেই করেছে আওয়ামী লীগ।