পর্দা নামছে বাণিজ্য মেলার

SHARE

5068আজ পর্দা নামছে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার। বিকেলে সমাপনী অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে ২১তম এ আসরের সমাপ্তি ঘটবে। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সূত্রে জানা যায়, রোববার বিকেলে মেলার সমাপ্তি ঘোষণা করবেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।

অনুষ্ঠানে শ্রেষ্ঠ প্যাভিয়িলন, বিক্রেতা ও ব্যতিক্রমী উদ্যোগের জন্য শীর্ষ প্রতিষ্ঠানগুলোকে ক্রেস্ট ও সম্মাননা প্রদান করা হবে। এছাড়া সর্বোচ্চ ভ্যাট প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানকেও ক্রেস্ট প্রদান করবে রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো।

এবছর রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকায় ক্রেতা-দর্শণার্থীদের সারা ভালো পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। ফলে আশানুরূপ ক্রেতা-দর্শণার্থী পেয়ে খুশি স্টল-প্যাভিলিয়নের মালিকরা। মেলায় ক্রেতা ও দর্শণার্থীদের উপস্থিতি আগের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।

এবছর মেলায় সবচেয়ে বেশি আগ্রহ দেখা গেছে গৃহস্থালি বিভিন্ন পণ্যের প্রতি। এর মধ্যে প্লাস্টিকের তৈরি পণ্যের পাশাপাশি রয়েছে প্রেসার কুকার, জুস মেকার, জুস ব্লেন্ডার, ওভেন, রাইস কুকার, ইস্ত্রি, ইন্ডাকশন চুলা, ফ্যানসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ইলেক্ট্রনিক্স পণ্য। এছাড়াও খাদ্যপণ্য, মোবাইল সেট, ব্লেজার, মেয়েদের বিভিন্ন প্রসাধনীসামগ্রী, থ্রিপিসের শো রুমগুলোতে ভিড় করেছেন ক্রেতারা।

শেষ মুহূর্তে ক্রেতা-দশণার্থীদের পদচারণায় মুখরিত মেলা প্রাঙ্গণ। বিক্রি বাড়াতে ছাড় আর অফার বাড়িয়েছে স্টলগুলো। ক্রেতা আকর্ষণে পণ্যের প্রকারভেদে ১০ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়া দিয়েছে বিক্রেতারা। এছাড়াও বিভিন্ন নামের নানা অফারের ছড়াছড়ি। এর মধ্যে রয়েছে আখেরি অফার, গোল্ডেন অফার, স্পেশাল অফার, আজকের অফার, শ্রেষ্ঠ অফার, বেসম্ভব অফার, একটি কিনলে একটি ফি ইত্যা‌দি। মেলা যেন এখন অফারের ছড়াছড়ি। ফলে বেচাকেনাও বেশ ভালো হয়েছে বলে জানান বিক্রেতারা।

উল্লেখ্য, ১ জানুয়ারি মাসব্যাপি ২১তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত এবারের মেলায় বাংলাদেশসহ মোট ২২টি দেশ অংশ নেয়।

মেলায় ১৩টি ক্যাটাগরিতে মোট ৫৫৩টি স্টল ও প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ দেয়া হয়। এর মধ্যে প্রিমিয়ার প্যাভিলিয়ন ৬০টি, জেনারেল প্যাভিলিয়ন ১০টি, রিজার্ভ প্যাভিলিয়ন ৩টি, ফরেন প্যাভিলিয়ন ৩৮টি।

এ ছাড়া মেলায় ৩৬টি প্রিমিয়ার মিনি প্যাভিলিয়ন, ১৩টি জেনারেল মিনি প্যাভিলিয়ন, ৬টি রিজার্ভ মিনি প্যাভিলিয়ন, ২৫টি ফুড স্টল এবং ৫টি রেস্টুরেন্ট স্থান পায়।