গণতন্ত্রের নামে বিএনপি লাশের রাজনীতি করছে: ওবায়দুল কাদের (ভিডিও)

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি,বুধবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৩ : গণতন্ত্রের নামে বিএনপি লাশের রাজনীতি করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, তথাকথিত আন্দোলনে ব্যর্থ হয়েও বিএনপি চিরাচরিত নির্লজ্জ মিথ্যাচারের ধারা অব্যাহত রেখেছে। তথাকথিত রাজনৈতিক কর্মসূচি ও অবরোধের নামে তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডও অব্যাহত রয়েছে।

Advertisement

বুধবার এক বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, গণতন্ত্রবিরোধী অপশক্তি বিএনপির গণতান্ত্রিক পন্থায় আন্দোলন করার শক্তি-সামর্থ্য নেই। এ কারণে তারা ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালের মতো অগ্নিসন্ত্রাসের মাধ্যমে নির্দয় আগুনের লেলিহান শিখায় পোড়াচ্ছে সারাদেশ। মেতে উঠেছে নির্বিচার ভাঙচুর ও সহিংসতায়। জনগণের জানমালের ক্ষয়ক্ষতি সাধন, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করা, মানুষ হত্যা এবং যানবাহনে অগ্নিসংযোগের মতো ধ্বংসাত্মক অপরাজনীতি চালিয়ে যাচ্ছে বিএনপি।

তিনি আরও বলেন, তথাকথিত সরকার পতনের আন্দোলন ব্যর্থ হওয়ায় বিএনপির অন্তরের জ্বালা কয়েক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ব্যর্থতার সেই আগুনে তারা বাংলার জনগণের আগামীর সম্ভবনাকে পুড়িয়ে ছাই করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাসী সংগঠন বিএনপি নেতারা ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনের নামে লাগাতার মিথ্যা, অপপ্রচার ও গুজব সৃষ্টি করছেন। তাদের নেতাকর্মীদের সন্ত্রাস সৃষ্টির নির্দেশনা দিচ্ছেন। একই সঙ্গে তাদের দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও গুমের মিথ্যা অভিযোগ উত্থাপন করছেন।

Advertisement

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির সন্ত্রাসী ক্যাডারবাহিনী যানবাহনে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর, সন্ত্রাস ও নাশকতা চালাচ্ছে। জনগণের জানমালের ওপর হামলা করছে। তারা নিজেরাই গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মগোপনে থাকছে। অথচ বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে বরাবরের মতো গুমের মিথ্যা অভিযোগ উত্থাপন করছে।

তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রাজনৈতিক নেতাকর্মী বিবেচনায় নয়, কেবলমাত্র সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িতদেরই গ্রেপ্তার করছে। কোনো সন্ত্রাসী আত্মগোপনে থাকলে, তার দায় সরকারের ওপর চাপানো যায় না। আওয়ামী লীগ কখনো গুম, খুন, অগ্নিসন্ত্রাস ও বিরোধী দল দমনের রাজনীতি করে না। গুম, খুন, সন্ত্রাসের রাজনীতি হলো বিএনপির মজ্জাগত আদর্শ।

সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সামরিক স্বৈরাচার জিয়াউর রহমান এ দেশে গুম ও খুনের অপরাজনীতির প্রচলন করেছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় ২০০১-০৬ সালে বিএনপি-জামায়াত অশুভ জোট আমলে আওয়ামী লীগের ২১ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছিল। অবৈধ ও সংবিধান পরিপন্থী অপারেশন ক্লিনহার্টের মাধ্যমে শত শত মানুষকে হত্যা করা হয়েছিল।

Advertisement

কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র ও সাংবিধানিক শাসনব্যবস্থা এবং জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। গণতন্ত্রবিরোধী অপশক্তির যেকোনো ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত এবং সন্ত্রাস, নাশকতা, নৈরাজ্য ও গণবিরোধী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে। আমরা বিশ্বাস করি, রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জনগণের জীবনমানের উন্নয়ন এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন-সমৃদ্ধির চলমান অগ্রগতিকে যেকোনো মূল্যে সমুন্নত রাখবে বাংলার জনগণ।