ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),বিনোদন প্রতিনিধি,শনিবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৩ :ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী হুমায়রা হিমুকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় তার বয়ফ্রেন্ড মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন ওরফে রুফিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
Advertisement
শনিবার (৪ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুর রহমানের আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উত্তরা পশ্চিম থানার সাব-ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) সাব্বির হোসেন আসামিকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
রুফির পক্ষে আইনজীবী জামিন চেয়ে শুনানি করেন। তবে, রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এর বিরোধিতা করা হয়। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
উত্তরা পশ্চিম থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার সাব-ইন্সপেক্টর নওশের আলী এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) রাতে এ ঘটনায় হিমুর খালা নাহিদ আক্তার জিয়াউদ্দিন ওরফে রুফিকে আসামি করে মামলাটি করেন।
Advertisement
মামলায় নাহিদ আক্তার অভিযোগ করেন, মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন ওরফে রুফি (৩৬) হিমুর বয়ফ্রেন্ড। গত ৬ মাস আগে থেকে সে নিয়মিত হিমুর বাসায় যাতায়াত করত এবং মাঝে মধ্যে বাসায় রাত্রি যাপন করতো। ১ নভেম্বর রুফির মোবাইল নাম্বার ও ভিগো আইডি ব্লক দেয় হিমু। বিষয়টি নিয়ে উভয়ের মধ্যে ঝামেলা হয়।
২ নভেম্বর বিকেল ৩ টার দিকে রুফি বাসায় এসে কলিং বেল দিলে মিহির বাসার মেইন দরজা খুলে দিলে সে বাসার ভিতরে প্রবেশ করে। মিহির তার রুমে চলে যায়। ৫ টার দিকে রুফি মিহিরের রুমে গিয়ে চিৎকার করতে করতে বলে হিমু আত্মহত্যা করেছে। তখন মিহির তাকে জিজ্ঞাসা করে আপনি তো রুমেই ছিলেন। তখন সে বাথরুমে ছিলো বলে জানায়। ওই সময় হিমু রুমের সিলিং ফ্যানের হুকের সাথে রশি লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
মিহির সাথে সাথে হিমুর রুমে প্রবেশ করে গলায় রশি লাগানো ফাঁস দেওয়া অবস্থায় পায়। রুমে থাকা দুটি কাঁচের গ্লাস ভাঙ্গা অবস্থায় দেখতে পায়। তাৎক্ষণিক তারা দুইজন হিমুকে নামিয়ে উত্তরা আধুনিক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তখন রুফি হিমুর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন দুটি নিয়ে কৌশলে চলে যায়।
Advertisement
হিমু আসামির ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বার ও ভিগো আইডি ব্লক দেয়। ওই বিষয় নিয়ে উভয়ের মধ্যে ঝামেলা হলে রুফি হিমুকে আত্মহত্যার জন্য প্ররোচনা দিয়ে বাথরুমে প্রবেশ করে। হিমু বিকেল ৩ টার পর থেকে ৫ টার আগ পর্যন্ত যেকোনো সময় রাগে ও ক্ষোভে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্নহত্যা করে বলে মামলায় অভিযোগ করেন নাহিদ আক্তার।