হিমুর র‌্যাবের তদন্তের নিশানায় মেকআপ আর্টিস্ট মিহির!

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),বিনোদন প্রতিনিধি,শনিবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৩ : দেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী হুমায়রা হিমুর মৃত্যুরহস্যের জট খুলতে ‘প্রেমিক’ রুফি ওরফে উরফি জিয়ার পাশাপাশি র‌্যাবের নিশানায় রয়েছেন মেকআপ আর্টিস্ট মিহির মোহন।

শুক্রবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় হিমুর মৃত্যুর বিষয়ে ব্রিফিং করেন র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। ওই সময় মেকআপ আর্টিস্ট মিহিরকে নিয়ে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

Advertisement

আল মঈন বলেন, এক বছর আগে হিমুর মা মারা যান। এরপর থেকেই হিমু মেকআপম্যান মিহিরকে নিয়ে উত্তরার ১০ নম্বর সেক্টর এলাকায় নিজ ফ্ল্যাটে একাই বাস করছিলেন।

হিমুর মৃত্যুরহস্য উদ্ঘাটন করতে আল মঈন আরও বলেন, আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলায় সরাসরি উরফি জিয়াকে আসামি করা হয়েছে। তবে র‍্যাব এ বিষয়ে আরও তদন্ত করছে। কারণ, ঘটনার সময় বাসায় আরও একজন (মেকআপম্যান মিহির) ছিলেন।
 
এ ছাড়া র‌্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার হওয়া ‘প্রেমিক’ উরফি জানিয়েছেন, দু-তিন বছর ধরে বিগো লাইভ অ্যাপের মাধ্যমে অনলাইন জুয়ায় আসক্ত ছিলেন হিমু-উরফি। এ পর্যন্ত দুজনেই বিপুল পরিমাণ অর্থ খুইয়েছেন।

Advertisement

 
উদারহণ হিসেবে উরফি র‌্যাবকে জানিয়েছেন, গত ৪ মাসে অনলাইন জুয়া খেলায় ২১ লাখ টাকা খরচ করেছেন উরফি। আর হিমু নষ্ট করেছেন প্রায় ৪০ লাখ টাকা।
 
এসব তথ্যের সঙ্গে উরফি আরও জানিয়েছেন, তিনি মাদক গ্রহণ করেন। আর তাকে মাদক এনে দিতেন মেকআপ আর্টিস্ট মিহির। অভিনেত্রী হিমু হতাশা কিংবা দুঃখ থেকে মাদক গ্রহণ করতেন কি না, সে বিষয় এখনও স্পষ্ট হয়নি।
এদিকে র‌্যাব বলছে, মিহিরের সঙ্গে মাদকের সম্পৃক্ততার বিষয়টি তদন্ত করা হবে। মিহির অন্য অভিনয়শিল্পীদেরও মাদক দেয় কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হবে।
 
এ ছাড়া তদন্তের নিশানায় মিহিরকে রাখার আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু খুঁজে পেয়েছে র‌্যাব কর্তৃপক্ষ। আর সেটি হলো দেশের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী তাজিন আহমেদের মৃত্যু।

Advertisement

 
প্রেস ব্রিফিংয়ে মঈন বলেন, প্রয়াত অভিনেত্রী হুমায়রা হিমুর মতো ৫ বছর আগে ২০১৮ সালে ২২ মে প্রয়াত অভিনেত্রী তাজিন আহমেদকেও হাসপাতালে নিয়ে এসেছিলেন মেকআপ আর্টিস্ট মিহির।
  

প্রয়াত অভিনেত্রী তাজিন আহমেদ (বাঁয়ে) ও সদ্য প্রয়াত অভিনেত্রী হুমায়রা হিমু। ছবি: সংগৃহীত

 

তাই হিমুর প্রকৃত মৃত্যুরহস্য জানতে আরও তদন্তের প্রয়োজন বলে মনে করেন র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।