‘যুদ্ধাপরাধ’ যেভাবে ভাই বানিয়ে দিল তাদের (ভিডিও)

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি,সোমবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৩ : ইসরায়েলের উগ্র ডানপন্থী প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে দীর্ঘ সময় তীব্র মতপার্থক্য ছিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের। তবে সম্প্রতি গাজায় নেতানিয়াহু প্রশাসনের চালানো যুদ্ধাপরাধের পেছনে কেন সেই বাইডেন সর্বাত্মক সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে তা অনেককে ভাবিয়েছে। গাজা সংকটের আগে, ওয়াশিংটন সফর ছিল নেতানিয়াহুর কাছে স্বপ্নের মতো। ডেমোক্রেট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বাইডেনের সঙ্গে দেখা করা ও করমর্দন করতে পারা তার জন্যে রাজনৈতিক প্রাপ্তির অংশ ছিল। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর প্রতি তার একধরনের অনিচ্ছা ও অনাগ্রহ কাজ করতো।

Advertisement

সেই জো বাইডেনই মুসলিমবিশ্ব বিশেষ করে আরব দেশগুলোর ইচ্ছার প্রতি সম্মান না দেখিয়ে ইসরায়েল সফর করেন। হামাস ও ইসরায়েলি বাহিনীর যুদ্ধের মধ্যেই সেখানে যান জো বাইডেন। সেই সঙ্গে অবরুদ্ধ গাজার একটি হাসপাতালে বর্বরোচিত হামলায় পাঁচ শতাধিক মানুষ নিহতের ঘটনায় যখন গোটা বিশ্বের বিবেক কেঁদে উঠেছে ঠিক সেই বৈরী পরিস্থিতিতে মোড়ল রাষ্ট্র হিসেবে তেল আবিব সফর করেন বাইডেন।  উড়োজাহাজ থেকে নেমে বুধবার (১৮ অক্টোবর) বিমানবন্দরে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে জড়িয়ে ধরেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

 

বাইডেন প্রশাসনের অনেক কর্মকর্তা ইতামার বেন-গভির এবং বেজালেল স্মোট্রিচের মতো চরমপন্থী ইসরায়েলি রাজনীতিবিদদের সঙ্গে স্বার্থপর নেতানিয়াহুর যোগসাজসকে এড়িয়ে যেতে চাইতেন। বেন-গভির হলেন জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী এবং স্মোট্রিচ হলেন ইসরায়েলের ইতিহাসে সবচেয়ে ডানপন্থী সরকারের অর্থমন্ত্রী। এই মন্ত্রিসভা নেতানিয়াহুর নেতৃত্বে গঠিত হয়েছিল।

Advertisement

জেরুজালেমে (আল-কুদস) মুসলিম পবিত্র স্থানগুলোকে অপবিত্র করার জন্য অথবা পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনি গ্রামগুলোকে জাতিগত নির্মূল করার লক্ষ্যে উসকানিমূলক পদক্ষেপের জন্য দুই দুই জনই চরমপন্থী রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত পান। তাদের নেয়া বিতর্কিত এমনসব পদক্ষেপগুলো ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোর গত ৭ অক্টোবরের হামলা শুরুর আগেই আরোপ করা হয়েছিল।

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাইডেন প্রশাসন নেতানিয়াহু সরকারের সঙ্গে চলতে থাকা মনোমালিন্য ভুলে গিয়ে ৭ অক্টোবর অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় চালানো ইসরায়েলি অভিযানে গণহত্যাকে অন্ধভাবে সমর্থন দিতে থাকে। যদিও এতে ইসরায়েলের যুদ্ধাপরাধের স্পষ্টতই প্রমাণ রয়েছে। সংবাদমাধ্যম মাহের-এ প্রকাশিত কূটনৈতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক ফারামারজ কুহপায়েহের নিবন্ধে এমনটি বলা হয়েছে।

অ্যামনেস্টির মহাসচিব অ্যাগনেস ক্যালামার্ড বলেন, `আমাদের গবেষণায় ইসরায়েলের অভিযানে বোমা হামলার ফলে যুদ্ধাপরাধের যে ঘটনা ঘটে তার স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে জরুরীভাবে তদন্ত করা উচিত।`

Advertisement

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় টানা ১৭তম দিনের মতো বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। ভয়াবহ এমন হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে কমপক্ষে চারশত নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। সোমবার (২৩ অক্টোবর) আল-জাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, রোববার রাতভর তীব্র বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে এক রাতেই ৬০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।