বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) র্যাবের হাতে আটক কক্সবাজারের শীর্ষ সন্ত্রাসী বাবুল মেম্বার। ছবি:ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি)
ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),কক্সবাজারের উখিয়া প্রতিনিধি, বৃহস্পতিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৩ : কক্সবাজারের উখিয়ার মাদক ও চোরাচালান সিন্ডিকেটের অন্যতম প্রধান জাফরুল ইসলাম ওরফে বাবুল মেম্বার অবশেষে র্যাবের জালে ধরা পড়েছে। এসময় তার কাছ থেকে ৫৫ হাজার পিস ইয়াবা, ১টি বিদেশী পিস্তল, ১টি দেশীয় অস্ত্র ও গোলাবারুদ জব্দ করা হয়।
Advertisement
বুধবার (৫ অক্টোবর) রাতে টেকনাফের কাটাখালী থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
তিনি জানান, বাবুল কক্সবাজারের টেকনাফ এলাকার একজন অন্যতম শীর্ষ মাদক কারবারি ও শীর্ষ সন্ত্রাসী। স্থানীয় এলাকায় মাদক চোরাচালানের গডফাদার হিসেবে চিহ্নিত তিনি। তিনি পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে মাদক দেশে নিয়ে আসতেন। বাবুল মাদক কারবারসহ বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য এলাকায় ২০—২৫ জনের একটি চক্র গড়ে তোলেন।
তিনি চিংড়ি ব্যবসার আড়ালে এলাকায় চাঁদাবাজি, স্বর্ণ চোরাচালান, অবৈধ অস্ত্র, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, চোরাই পথে গবাদি পশু চোরাচালান এবং অবৈধভাবে পাহাড় কেটে মাটির ব্যবসাসহ অন্যান্য সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করতেন।
Advertisement
র্যাব জানায়, বাবুল ২০০৫ সালের পরে টেকনাফ এলাকায় মাদক ও অন্যান্য চোরাচালানের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। তিনি পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে মাদক এনে দেশের বিভিন্ন এলাকায় পৌঁছে দিতেন। ২০১৭ সালে এলাকার আরেক মাদক কারবারি লুৎফুর রহমানের মাধ্যমে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পলাতক তালিকাভুক্ত রোহিঙ্গা শীর্ষ সন্ত্রাসী নবি হোসেনের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। নবির সঙ্গে পরিচয়ের পর থেকে বাবুল আরও বড় মাদক সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন।
বাবুল প্রতি সপ্তাহে চার—পাঁচটি ইয়াবার চালান দেশে নিয়ে আসতেন এবং বালুখালী এলাকায় তার চিংড়ি খামারে লুকিয়ে রাখতেন। প্রতি চালানে দেশে প্রায় দুই লাখ পিস ইয়াবা আনা হতো। ২০১৭ সালে জাবু হত্যা মামলায় প্রায় দুই মাস কারাভোগ করে বাবুল জামিনে বের হয়ে আসেন। মাদক ব্যবসা ও চোরাচালানের মাধ্যমে আয় করা টাকায় তিনি কক্সবাজারে বিলাসবহুল ফ্ল্যাট, ডামট্রাক, ট্রাক, এলাকাতে জমি এবং মাছের প্রজেক্টসহ প্রায় ৫০ কোটি টাকার বিপুল পরিমাণ সম্পদ গড়ে তোলেন।
তার বিরুদ্ধে কক্সবাজারের উখিয়া থানায় হত্যা এবং মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধে নয়টির বেশি মামলা রয়েছে। বাবুল প্রতি মাসে ৪০—৪৫ লাখ পিস ইয়াবা দেশে নিতে আসতেন। এতে তার প্রতি মাসে প্রায় ২ কোটি টাকা আয় হতো।