ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী প্রতিনিধি, বৃহস্পতিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৩ : কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে মামলার রেকর্ড ও ওয়ান্টেভুক্ত আসামী না হলেও এক ব্যক্তিকে প্রায় চৌদ্দ ঘণ্টা থানায় আটক রেখে উৎকোচ গ্রহণ ও মোটা অংকের উৎকোচ করার দাবির অভিযোগে পুলিশের এসআই আইয়ুব আলীকে কুড়িগ্রাম পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে।
Advertisement
থানা সূত্রে জানা গেছে,উপজেলার শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের মৃত গমির উদ্দিনের ছেলে মজিদুল হক (৫০)এর সাথে একই এলাকার বছির উদ্দিনের সাথে জমিজমা সংক্রান্ত জেরে ঝগড়া বিবাদ হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত সেপ্টেম্বর মাসের ১৯ তারিখে ফুলবাড়ী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন বছির উদ্দিন। পরে ঘটনাটি স্থানীয় জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে মিমাংসার সিধান্ত করা হয়। এটি জানার পরেও তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই আইয়ুব আলী বিভিন্ন সময় বিবাদীকে নানাভাবে হয়রানিসহ উৎকোচ দাবী করেন। এক পর্যায়ে তিনি মঙ্গলাবার সকালে মজিদুল হককে তার বাড়ী থেকে তুলে এনে থানার একটি কক্ষে আটক রাখেন এবং তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে তার পরিবার ও জনপ্রতিনিধি লায়লা বেগমের কাছে ১ লাখ টাকা দাবি করেন।
বিষয়টি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম রব্বানী সরকারকে অবগত করা হলে তিনি বিষয়টি ফুলবাড়ী পুলিশ স্টেশনে গিয়ে চ্যালেঞ্জ করেন। এক পর্যায়ে অভিযুক্ত এসআই আইয়ুব আলীকে ফুলবাড়ী থানা অফিসার ইনচার্জ রুমে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি সদুত্তর দিতে না পারায় উপস্থিত সকলেই বিব্রত বোধ করেন।
Advertisement
শিমুলবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত আসনে ইউপি সদস্য লায়লা বেগম জানান, তিনি আমার নিকট থেকে ইতিপূর্বে মজিদুলের বিষয়ে মামলা হবে না এইমর্মে ৬ হাজার টাকা কৌশলে উৎকোচ নেন। আবার মামলার মিমাংসার কথা বলে প্রকাশ্যেই ১ লাখ টাকার দাবি করেন থানায়।
স্থানীয় শিমুলবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শরিফুল আলম মিয়া সোহেল জানান, অবৈধ ভাবে আমার ইউনিয়নের মজিদুল হককে এসআই আইয়ুব থানায় এনে প্রায় চৌদ্দ ঘণ্টা আটক করে রাখেন। বিষয়টি পুলিশ সুপার জানার পর আটক ব্যাক্তিকে ছেড়ে দেওয়া হয় এবং রাতেই তাকে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়।
ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) নাজমুস সাকিব সজীব ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে রাতেই তাকে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে।
Advertisement
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম রব্বানী সরকার জানান, ক্ষমতার অপব্যবহার করে একজন গরীব অসহায় মানুষকে কোন কারণ ছাড়াই থানার একটি রুমে আটক করে রাখা হয়েছে এবং আমার সঙ্গে অসৌজন্য মূলক আচরণ করা হয়েছে। আমি বিষয়টি পুলিশ সুপারকে জানিয়েছি।