ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি ,রোববার, ০১ অক্টোবর ২০২৩ : বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার বিষয়ে করা আবেদনে মতামত দিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানে হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। রোববার (১ অক্টোবর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।
Advertisement
আইনমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়াকে বিদেশে যেতে হলে জেলে গিয়ে আবারও আবেদন করতে হবে। তখন আদালত সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। বেগম জিয়ার বিদেশে নেয়ার বিষয়ে পারিবারিক আবেদনে এমন মতামত দিয়ে আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি।
আনিসুল হক বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হতে আইনি মতামতের জন্য বেগম খালেদা জিয়ার ভাইয়ের যে শেষ দরখাস্ত ছিল সেটা হচ্ছে তাকে (খালেদা জিয়া) নির্শত মুক্তি দেয়া ও বিদেশে চিকিৎসার জন্য অনুমতি দেয়ার বিষয়ে। সেটার আইনি মতামতের জন্য আমাদের কাছে পাঠানো হয়েছিল। আমরা আইনি মতামত দিয়ে সেটা কিছুক্ষণ আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দিয়েছি।
Advertisement
তিনি বলেন, আমাদের মতামত হলো প্রথম যে দরখাস্ত ছিল যেটা ২০২০ সালের মার্চ মাসে নিষ্পত্তি হয় সেখানে ছিল বেগম খালেদা জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ তাকে কারাগার থেকে মুক্তি দিয়ে তার সুচিকিৎসা যেন হয় সেটার ব্যবস্থা করা। তখন সেই দরখাস্তের ওপর আমরা একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।
আইনমন্ত্রী আরও বলেন, দুটি শর্ত সাপেক্ষে তার দণ্ডাদেশ ছয় মাসের জন্য স্থগিত রেখে তাকে মুক্তি দেয়া হয়েছিল। এটা ফৌজদারী কার্যবিধির ৪০১ উপধারা ১ এর ক্ষমতাবলে। সেখানে দুটি শর্ত দেয়া হয়েছিল সেগুলো হচ্ছে- প্রথম তিনি বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন। দ্বিতীয়ত তিনি বিদেশে যেতে পারবেন না।
তিনি আরও বলেন, শর্তগুলো মেনে তিনি কারাগার থেকে মুক্ত হন এবং বাসায় ফিরে যান। সেভাবে সে দরখাস্ত নিষ্পত্তি করা হয়। পরবর্তীতে প্রত্যেক ছয় মাসে তার মুক্তির মেয়াদ ৮ বার বৃদ্ধি করা হয়। ফৌজদারী কার্যবিধির ৪০১ ধারা কোনও দরখাস্ত যদি একবার নিষ্পত্তি হয় এই নিষ্পত্তিকৃত দরখাস্ত পুনর্বিবেচনা করার কোনও অবকাশ আইনে থাকে না।
Advertisement
আমরা ঠিক সেই ফৌজদারী কার্যবিধির ৪০১ ধারার উপধারা ১, ২, ৩, ৪, ৫ এবং উপধারা ৬ আমরা ব্যাখ্যা করে আমাদের মতামত পাঠিয়ে দিয়েছি। সেই মতামত হচ্ছে যে, ৪০১ ধারার ক্ষমতাবলে যেই দরখাস্ত নিষ্পত্তি করা হয়েছে সেটা আর খোলার বা পুনর্বিবেচনা করার অবকাশ নেই বলে তিনি যোগ করেন।