আনসারা হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে ১০০ টাকা দিলে ভিতরে প্রেবেশ করতে দেয়,বাধা দেওয়ায় ১ জন নিহত (ভিডিও)

SHARE

 

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি ,সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ : রাজধানীর হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন এক নারীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে হাসপাতালে দায়িত্বরত আনসারদের মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এ খবরে চিকিৎসাধীন ওই নারী মৃত্যুবরণ করেন। পরে পুলিশ এসে আনসারদের হাতে আটক স্বজনদের উদ্ধার করে।

 

Advertisement

রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে এ ঘটনায় মারা যাওয়া ওই নারীর মেয়ে বাদী হয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় অভিযোগ করেছেন।

  

জানা যায়, মারামারির এ ঘটনায় আহত হয়েছেন রোগীর স্বামী, মেয়ে, ২ ছেলেসহ বেশ কয়েকজন আত্মীয়-স্বজন। সবচেয়ে বেশি আহত হয়েছেন পরিবারের মেজো ছেলে তানজিল। তিনি বর্তমানে পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার সারা গায়ে মারের অসংখ্য চিহ্ন।
 
তাদের অভিযোগ, তিন দফা টাকা দিয়ে প্রবেশের পরেও চতুর্থ দফায় প্রবেশের সময় টাকা না দিলে তাদের বাধা দেয় দায়িত্বরত আনসার সদস্যরা। জোর করে ঢুকতে চাইলে মারধর করা হয়।
 
ওই রোগীর স্বামী বলেন,  

আমরা ৪ থেকে ৫ জন ছিলাম। ২০ থেকে ৩০ জন আনসার সদস্য এসে আমাদের পরিবারের ওপর হামলা চালান। সিসিইউতে নিয়ে আসার পর চিকিৎসক বলেছেন রক্ত লাগবে। গেইটে এসে বললাম, রক্তটা দিয়ে যাই। কিন্তু এতে আমাকে বাধা দেয়া হয়। ছেলেকে ডেকে এনেছি, রক্তটা পৌঁছে দেয়ার জন্য। আনসার সদস্যকে উদ্দেশ করে আমার ছেলে বলে, একটু আগে আপনাকে ৫০ টাকা দিলাম। আমার বাবাকে ঢুকতে দেন। এ কথা বলাতেই আমার ছেলেকে থাপ্পড় দেয়।

 

Advertisement

 
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, টাকা না দিলে সিসিইউতে চিকিৎসাধীন ব্যক্তির স্বজনদের প্রবেশ করতে দেয় না আনসার সদস্যরা। এ ঘটনা নিয়েই সূত্রপাত হয়েছিল মারামারির।
 
অন্যান্য রোগীর স্বজনরা বলেন,  

আমরা গেলে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়া হয়। টাকা দিলে ঢুকতে দেয়। যতবার আসে, ততবার ১০০ টাকা করে দিতে হয়।

 

এ দিকে ঘটনা গুরুতর অবস্থার দিকে মোড় নিতে থাকলে হাসপাতালে হাজির হন শেরেবাংলা নগর থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তারিক হাসান কাজল। তিনি জানান, এ ঘটনায় খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ফোন দিয়ে দোষীদের সাজা দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। মন্ত্রী এরই মধ্যে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে বলেছেন।
অভিযুক্ত আনসারদের কারও সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। সময় টেলিভিশনের ক্যামেরা দেখেই তারা ক্যাম্পের ভেতরে চলে যান। বারবার ফোন দিয়েও প্লাটুন কমান্ডারকে পাওয়া যায়নি।
 
এদিকে রাতেই মারা যাওয়া রোগিণীর একমাত্র মেয়ে সেলিনা আক্তার শেরেবাংলা নগর থানায় এ ঘটনায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।

Advertisement

মারধরের ঘটনার কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন মৃত রোগিণীর মেয়ে সেলিনা আক্তার। ছবি: সময় সংবাদ