এদিকে ক্যামেরা দেখে হাত বাড়িয়ে দিল জ্যাকো নামের একটি বিড়াল। মনে হচ্ছিল কিছু একটা বলতে চায় সে। রুমের পাশে খেলা করছে টম আর টফি। বেশ কয়েক দিন থাকার ফলে বন্ধুত্ব হয়ে যায় একে অপরের সঙ্গে।
এভাবে দিন কাটছে পুটুশ, কোকো, লিও ও টুশির। একটু আরামের জন্য বিছানা-বালিশ তো আছেই, একই সঙ্গে রয়েছে টয়লেট ব্যবহারের বিশেষ ব্যবস্থাও।
এ দৃশ্য কোনো বাসাবাড়ির নয়। মূলত এ পোষা প্রাণীদের মালিক এখানে রেখে গেছেন তাদের। মালিকদের কেউ দেশের অন্যত্র, আবার কেউ দেশের বাইরে ভ্রমণে রয়েছেন। ফলে তাদের পোষা প্রাণীটি সঙ্গে নিতে না পারায় রেখে গেছেন তাদের আবাসিক হোটেলে। যেখানে থাকে শুধু প্রাণীরাই।
Advertisement
ভিন্ন প্রকৃতির এ আবাসিক হোটেল ফারিঘরের সহপ্রতিষ্ঠাতা স্থপতি রাকিবুল হক এমিল যুগান্তরকে জানান, ২৪ ঘণ্টাই সেবা দিয়ে যাচ্ছেন এ সেবা। হোটেলে থাকা কোনো প্রাণী অসুস্থ হলে রয়েছে চিকিৎসার ব্যবস্থা। যেখানে কাজ করে থাকেন প্রাণী চিকিৎসকরা।
এ ছাড়া রাজধানীতে প্রাণীদের আনা-নেওয়ার সুবিধা না থাকায় বিড়ম্বনার শিকার হন প্রাণীপ্রেমীরা। সমস্যার সমাধানে বিশেষায়িত হোটেলটিতে এ ব্যবস্থা রেখেছেন বলে জানান তিনি।
হোটেলটির ব্যবস্থাপক তোয়ানূর রাহা যুগান্তরকে জানান, ঢাকার মিরপুরের চিড়িয়াখানা সড়কে এলেই দেখা মিলবে পোষা প্রাণীদের এ আবাসিক হোটেল।
Advertisement
প্রাণীপ্রেমীরা ঢাকার বাইরে বা দেশের বাইরে ভ্রমণে গেলে রেখে যেতে পারবেন তাদের প্রিয় প্রাণীটিকে। তবে তার জন্য গুনতে হবে অর্থ।