Advertisement
চ্যানেল 24-এ এ বিষয়ে সংবাদ প্রচারের পরই জামিন স্থগিত চায় রাষ্ট্রপক্ষ।
২০১৮ সালেরে ১৭ ডিসেম্বর কুমিল্লার সদরের কৃষ্ণনগরে চার বছরের শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা করে একই গ্রামের মেহেরাজ হোসেন তুষার। হত্যার পরে একটি নির্মাণাধীন ভবনে মরদেহ লুকিয়ে রাখেন তুষার। পরদিন মরদেহ খুঁজে পায় পরিবার। তারপর সেই শিশুর জানাজাও পড়েন সেই তুষার। ওই ঘটনায় প্রথমে অজ্ঞতানামা আসামির নামে মামলা করে পুলিশ।
পরে ময়না তদন্ত রিপোর্টে ধর্ষণের প্রমাণ না মিললেও ভিসেরা রিপোর্ট পাওয়া যায় শিশুটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। এরপর নানা সমীকরণ মিলিয়ে ৩১ জানুয়ারি ২০১৯ সালে গ্রেপ্তার করা হয় তুষারকে। সেদিনই ধর্ষণের কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় সে।
Advertisement
২০১৯ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর তার বিরুদ্ধে চার্জশিট হয়। তবে মরদেহ চাপার ঘটনা যুক্ত করে সম্পূরক চার্জশিট হয় চলতি বছর মে মাসে।
সব কিছু বিবেচনায় নিয়ে কুমিল্লার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল চলতি বছর জুন মাসে তুষারের বিচার শুরুর নির্দেশ দেন। কিন্তু, সাক্ষ্য গ্রহণ শুরুর আগেই গত ২১ আগস্ট হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে কারাগার থেকে বেরি গেছেন আসামি তুষার।
তাকে জামিন দিয়েছিলেন, বিচারপতি মো. বদরুজ্জামান ও বিচারপতি মাসুদ হোসেন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চ। এছাড়া, রাষ্ট্রপক্ষের আইন কর্মকর্তা ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মাসুদ রুমিও জামিন স্থগিতের আবেদন করেননি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চ্যানেল 24-কে তিনি ফোনে জানান, তিনি ভেবেছিলেন এ ধরনের জামিন স্থগিত করেনা আদালত। তাই তিনি স্থগিত আদেশ চাননি।
Advertisement
এদিকে ধর্ষণের মারা যাওয়া শিশুটির পরিবারের অভিযোগ, জামিনে বেরিয়ে মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছে তুষার।