ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি ,মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ : সাময়িক বরখাস্ত পুলিশের রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি। আজ মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারের কাছে প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে।
Advertisement
ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব সরকার জানিয়েছেন,তদন্ত প্রতিবেদনে এডিসি হারুন ও এডিসি সানজিদা আফরিনসহ ৫ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হবে।
গত ৯ সেপ্টেম্বর রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনিম এবং সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফজলুল হক হলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাঈমকে শাহবাগ থানায় নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে।
ছাত্রলীগ নেতাদের অভিযোগ, ওই দিন রাতে এডিসি সানজিদা আফরিনের সঙ্গে বারডেম হাসপাতালে আড্ডা দিচ্ছিলেন এডিসি হারুন। ওই সময় সানজিদার স্বামী রাষ্ট্রপতির এপিএস আজিজুল হক মামুন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে নিয়ে সেখানে যান। তাদের সঙ্গে এডিসি হারুনের কথা কাটাকাটি হয়। পরে দুই নেতাকে শাহবাগ থানায় তুলে নিয়ে যান তিনি।যেখানে তাদের পেটানো হয়।
Advertisement
পরে সারাদেশে এই ঘটনা ছড়িয়ে পড়ে। পরিপ্রেক্ষিতে এডিসি হারুনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। সেই সঙ্গে রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়।পাশাপাশি শাহবাগ থানার ইন্সপেক্টর (অপারেশনস) গোলাম মোস্তফাকে ডিএমপির সংরক্ষণ দপ্তরে বদলি করা হয়।
এরপর ঘটনার তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। সাত কার্যদিবসের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। অবশেষে এদিন প্রতিবেদন জমা দেবে তারা।
সেসময় ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতাল, শাহবাগ থানাসহ কিছু স্থানের ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়। রাষ্ট্রপতির এপিএস মামুন, এডিসি হারুন ও সানজিদার বক্তব্য নেয়া হয়। পাশাপাশি মারধরের শিকার ছাত্রলীগ নেতারা সাক্ষ্য দিয়েছেন।
ডিএমপি যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করা হয়েছে। এতে প্রকৃত ঘটনা উন্মোচন হবে। দায়ী ব্যক্তি শনাক্ত হবে।
আলামত পর্যালোচনা করে তদন্ত কমিটি বলছে, স্ত্রী সানজিদা গিয়েছে জেনে ছাত্রলীগ নেতাদের নিয়ে হাসপাতালে যান মামুন। সেখানে এডিসি হারুনের সঙ্গে দেখা হয়। পরে তাদের বাগবিতণ্ডা হয়।
Advertisement
একপর্যায়ে হারুন ও সানজিদা হাসপাতালের ইটিটি রুমে ঢুকে পড়ে। পরে শাহবাগ থানায় নিয়ে ছাত্রলীগ নেতাদের মারধর করেন হারুণ ও তার সহযোগীরা।