ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি ,শুক্রবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ : থানায় নিয়ে ছাত্রলীগের দুই নেতাকে মারধরের ঘটনায় পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশীদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্ত চলছে। ইতোমধ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গঠিত ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি এডিসি হারুন ও সানজিদা আফরিনের বক্তব্য নিয়েছে।
Advertisement
জানা গেছে, ঘটনা তদন্তে ডিএমপির ৩ সদস্যের কমিটিকে আরও পাঁচ দিন সময় দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে কমিটি এডিসি হারুন অর রশীদ, এডিসি সানজিদা আফরিন, পরিদর্শক মো. গোলাম মোস্তফা, ঘটনার মূল ভুক্তভোগী ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন নাঈম, আরেক আহত ছাত্রলীগের বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনিমসহ অন্তত ১০ জনের বক্তব্য নিয়েছে।
সূত্র জানায়, তদন্ত কমিটির কাছে দেওয়া বক্তব্যে ঘটনার জন্য স্বামী রাষ্ট্রপতির এপিএস আজিজুল হক খান মামুনকে দায়ী করেছেন সানজিদা। অন্যদিকে ভুক্তভোগীরা তদন্ত কমিটির কাছে ঘটনার আদ্যোপান্ত ও নির্যাতনের বর্ণনা তুলে ধরেছেন। এখন পর্যন্ত যেসব সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে তার মধ্যে এডিসি হারুন ও পরিদর্শক মোস্তফার ভূমিকা সেদিন সবচেয়ে আগ্রাসী ছিল বলে জানা গেছে। এ ছাড়া রাষ্ট্রপতির এপিএস মামুনকে চিঠি দিয়ে বক্তব্য নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষকে সুপারিশ করবে তদন্ত কমিটি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তদন্ত কমিটির এক সদস্য বলেন, অত্যন্ত নির্মোহভাবে এ ঘটনার তদন্ত চলছে। সেদিন যা ঘটেছিল, তদন্তে তাই উঠে আসবে।
Advertisement
এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল গণমাধ্যমকে জানান, এডিসি হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হতে পারে। তাৎক্ষণিকভাবে যেটা দরকার ছিল তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এখন তদন্ত শুরু হয়ে তার নামে যদি মামলা হয়ে থাকে, সে মামলাগুলোর প্রক্রিয়া শুরু হবে।
উল্লেখ্য, গত ৯ সেপ্টেম্বর রাতে রাজধানীর শাহবাগ থানায় ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে নির্মমভাবে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ ওঠে পুলিশের রমনা বিভাগের এডিসি হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে।
মারধরের শিকার দুই নেতা হলেন- ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাবির শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনিম এবং কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফজলুল হক হলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাঈম। ঘটনার পর তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় পুলিশের রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদকে গত ১০ সেপ্টেম্বর প্রত্যাহার করে পুলিশ অর্ডার ম্যানেজমেন্টে (পিওএম) সংযুক্ত করা হয়। পরে একই দিনে তাকে কক্সবাজারের আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নে (এপিবিএন) বদলি করা হয়। পরদিন ১১ সেপ্টেম্বর তাকে সাময়িক বহিষ্কার করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এরপর ১২ সেপ্টেম্বর রাতে এডিসি হারুনকে রংপুর রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে সংযুক্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
Advertisement
ঘটনার পর এডিসি সানজিদা অন্তরালে থাকলেও গত মঙ্গলবার মুখ খুলেন তিনি। গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সানজিদা অভিযোগ করেন তার স্বামী আজিজুল হক মামুন আগে তাকে ও এডিসি হারুনের গায়ে হাত তুলেছেন। তখনই ঘটনাটি বড় হয়।