বিয়ে করে সব হারালেন মুশতাক

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি), আইন আদালত প্রতিনিধি ,শনিবার, ২৬ আগস্ট ২০২৩ :  ছাত্রীকে বিয়ে করায় আলোচিত রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারবে না সেই দাতা সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদ।

Advertisement

রোববার (২৬ আগস্ট) চেম্বার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম স্বাক্ষরিত একপাতার লিখিত আদেশ চ্যানেল-24 এর হাতে আসে। আদেশে আরও বলা হয় স্কুলের সীমানায় ঢুকতে পারবেন না তিনি।

তবে খন্দকার মুশতাক আহমেদকে হাইকোর্টের দেয়া আগাম জামিন বহাল থাকবে বলে লিখিত আদেশে জানিয়েছে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।

এ বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, খন্দকার মুশতাককে সব রকম গভর্নিং বডির মিটিংয়ে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ঢুকতে পারবেন না স্কুল ক্যাম্পাসে।

Advertisement

গত ২১ আগস্ট আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ধর্ষণ মামলায় রাজধানীর মতিঝিলের আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদকে স্কুলের ত্রিসীমানায় যেতে নিষেধ করে আআদেশ দেন। অন্য শিক্ষার্থীরা যাতে ক্ষতিগ্রস্থ না হয় সে কারণে এ আদেশ দেন আদালত। সেই সঙ্গে গভর্নিং বডির কোন কাজেও অংশ নিতে পারবেন না তিনি।

এর আগে রোববার (২০ আগস্ট) খন্দকার মুশতাক আহমেদকে বিয়ে করা আইডিয়ালের শিক্ষার্থী সিনথিয়াকে তার বাবার জিম্মায় দিতে হাইকোর্টের রিট দায়ের করেন মেয়েটির বাবা।

গত ১৭ আগস্ট হাইকোর্ট ধর্ষণ মামলায় মুশতাককে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন দেয়। সেই সঙ্গে বিয়ে করা আইডিয়ালের ছাত্রীকে নিরাপদ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

খন্দকার মুশতাক গভর্নিং বডির সদস্য থাকাকালে আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রীকে বিয়ে করেন। এই বিয়ে নিয়ে দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় উঠে। খোদ রাষ্ট্র পক্ষের কৌসুলিরা হাইকোর্টে বলেন, খন্দকার মুশতাক রক্ষক হয়ে ভক্ষকের কাজ করেছেন। এভাবে কোনো ছাত্রী ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিরাপদ নয়। এমনকি হাইকোর্ট বলেন, এটা বিকৃত রুচির বিয়ে।

গত ১ আগস্ট ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এর বিচারক বেগম মাফরোজা পারভীনের আদালতে খন্দকার মুশতাক আহমেদকে প্রধান আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। এ মামলায় আইডিয়ালের অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদীকেও আসামি করা হয়। ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্রীর বাবা মো. সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন।

Advertisement