প্রিগোজিনের হত্যাকাণ্ড পুতিনের নির্দেশেই : সাবেক সিআইএ কর্মকর্তা (ভিডিও)

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি ,বৃহস্পতিবার, ২৪ আগস্ট ২০২৩ : ভাড়াটে সেনাদল ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিনকে হত্যা করা হয়েছে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশেই। এমন দাবি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থার (সিআইএ) সাবেক এক কর্মকর্তা, যিনি সংস্থাটির মস্কো বিষয়ক প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বুধবার (২৩ আগস্ট) মস্কোতে উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে প্রিগোজিনের মৃত্যুর পরই গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর মস্কো স্টেশনের সাবেক প্রধান কর্মকর্তা ড্যানিয়েল হফম্যান বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এমন তথ্য দিয়েছেন। তিনি বলেন, `আমার এতে কোনো সন্দেহ নেই যে এ হত্যাকাণ্ড পুতিনের নির্দেশেই হয়েছে।

Advertisement

হফম্যানের তথ্য মতে, গত জুনে ক্রেমলিনের বিরুদ্ধে ওয়াগনার প্রধান প্রিগোজিনের ব্যর্থ বিদ্রোহের পর প্রেসিডেন্ট পুতিন তাকে গ্রেপ্তার না করে মিথ্যা নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়েছিলেন, যাতে করে প্রিগোজিন স্বাধীনভাবে চলাচল শুরু করতে পারেন। আর সেই সুযোগে তাকে হত্যা করা হয়।

সাবেক সিআইএ কর্মকর্তা আরও বলেন, `ওয়াগনারকে পুতিনের নিরাপত্তায় ঝুঁকি হিসেবে দেখা হতো। যাকে গত জুনে বিশ্বাসঘাতক বলা হয়েছিল তাকে আর কতটুকুন বিশস্ত হিসেবে ফের গ্রহণ করা যায়।`

Advertisement

 

রাশিয়ার ভাড়াটে সেনাবাহিনী ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিন। সিরিয়া, লিবিয়া ও আফ্রিকায় বর্বরতা চালানো এই যোদ্ধা, রণক্ষেত্রে ছিলেন ত্রাসের নাম। তবে যুদ্ধের ময়দানে নয়, নয় শত্রুর কামান কিংবা গুলির আঘাতে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, মস্কোতে উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত  হয়ে মৃত্যু হয়েছে তার।

বুধবার ১০ আরোহী নিয়ে মস্কো থেকে সেন্ট পিটার্বার্গের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় প্রিগোজিনের ব্যাক্তিগত উড়োজাহাজ। পথে মস্কোর টিভার অঞ্চলে ধসে পড়ে বিমানটি। এতে আরোহীদের কেউ বেচে নেই, দাবি রাশিয়ার সিভিল এভিয়েশন রেগুলেটর রোজাভিয়েতসিয়ার।

রুশ তদন্তকারী সংস্থার মুখপাত্র সেভেতলানা পেত্রেঙ্কো জানিয়েছেন, মস্কোর টিভার অঞ্চলে একটি ব্যক্তিগত বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এর ১০ আরোহীর কেউ বেঁচে নেই। প্রত্যেকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। দুর্ঘটনার কারণ সন্ধানে তদন্ত শুরু করেছি আমরা।

Advertisement

ওয়াগনার গ্রুপের নিয়ন্ত্রণাধীন একটি টেলিগ্রাম চ্যানেলে দাবি করা হয়, নিছক দুর্ঘটনা নয় এটি। পুতিনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করায় প্রিগোজিনকে হত্যা করেছে ক্রেমলিন। গুলি করে উড়োজাহাজটি ভূপাতিত করা হয়েছে। তবে এর ভিত্তিতে কোন প্রমাণ দেখাতে পারেনি ভাড়াটে বাহিনীটি। অন্যদিকে ক্রেমলিন বলছে, হঠা আগুন লেগে যাওয়াই দুর্ঘটনার কারণ। কোন প্রমাণ না থাকলেও একই সুরে কথা বলছেন পশ্চিমা প্রতিপক্ষরাও। পুতিনকে দায়ী করে বিবৃতি দিয়েছে যুক্তরাজ্য, ইউক্রেন।