ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),মাদারীপুর প্রতিনিধি ,মঙ্গলবার, ২২ আগস্ট ২০২৩ : মাদারীপুরে স্ত্রী ও তার স্বজনদের মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসাতে গিয়ে অভিযোগকারী নিজেই এখন জেলহাজতে।
Advertisement
সোমবার (২১ আগস্ট) সকালে আদালত চলাকালীন মাদারীপুর চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত আমির হোসেন (৪০) মাদারীপুর নতুন এলাকার মৃত আনোয়ার হোসেনের ছেলে।
আদালত থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, মাদারীপুর নতুন শহরের বাসিন্দা মো. আমির হোসেন তার নিজ স্ত্রী আখি বেগম, তার মা, বোন, দুলা ভাই এবং দুই ভাগ্নেকে ফাঁসাতে নিজের মাথায় ব্যান্ডেজ পরে জেলা দায়রা আদালতের বিজ্ঞ বিচারক এর সামনে দাড়ান।পরে বিষয় আমলে নিয়ে বিচারক মো. মামুনুর রশিদ অভিযোগকারীর বক্তব্য শুনেন। অভিযোগকারী বলেন, তার স্ত্রী আখি বেগম, তার মা, বোন, দুলা ভাই এবং দুই ভাগিনারা মিলে মাথা ফাটিয়ে দেয়।এতে তার মাথায় ছয়টি সেলাই দেওয়া হয়েছে। পরে বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হলে বিচারক মাথার ব্যান্ডেজ খুলতে বলেন। অভিযোগকারী জানান, ডাক্তার ব্যান্ডেজ খুলতে বারণ করেছে।এ সময় বিচারকের নির্দেশে প্রসেস সার্ভার সোনা মিয়া মজুমদার অভিযোগকারীর মাথার ব্যান্ডেজ খুলে দেখেন তার মাথায় কোনো আঘাতের চিহ্নই নেই।
পরবর্তীতে বিজ্ঞ আদালতের বেঞ্চ সহকারী ওয়াহিদুজ্জামান বাদী হয়ে অভিযোগকারী আমির হোসেনকে আসামি করে দন্ডবিধি আইনের ২১১ ধারায় মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ বিচারক তা আমলে নিয়ে আমির হোসেনকে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।
Advertisement
অভিযোগকারীর স্ত্রী আখি বেগম বলেন, আমার স্বামীকে কেউ মারেনি। সে নিজেই ডাক্তারের কাছে গিয়ে মাথায় ব্যান্ডেজ করে আদালতে হাজির হয়েছে আমাদের নামে মামলা দেওয়ার জন্য। সে ঘর থেকে বের হয়ে বলে তোদেরকে আজকে জেলের ভাত খাওয়ামু। কিন্তু আজকে আমরা বিচারক স্যারের জন্য রক্ষা পেলাম।
এব্যাপারে মাদারীপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. গোলাম কিবরিয়া হাওলাদার বলেন, আজকে একটি পরিবার মিথ্যা মামলায় থেকে বেঁচে গেল। অভিযোগকারী আমির হোসেনের মাথায় ব্যান্ডেজ দেখেই বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারকের সন্দেহ হলো। একপর্যায়ে সন্দেহ থেকেই সত্য উদঘাটিত হলো।
পরে এ বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের ছড়িয়ে পড়লে সচেতনমহল চিফ জুডিসিয়াল আদালতের বিচারককে অভিনন্দন এবং শুভকামনা জানান।
Advertisement