ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি ,শনিবার, ১৯ আগস্ট ২০২৩ : রাজধানীর গেণ্ডারিয়া স্টেশন থেকে প্রথমবারের মতো রেলপথে পরীক্ষামূলক একটি রেল (ট্যাক কার) মাওয়া দিয়ে পদ্মাসেতু অতিক্রম করে ভাঙ্গা স্টেশনে পৌঁছায়। শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ট্যাক কারটি রওনা হয়। খবর বাসসের।
Advertisement
পরীক্ষামূলক ট্যাক কারটি মুন্সীগঞ্জের মাওয়ায় আসতে পৌনে দুই ঘণ্টা সময় লাগে। মাওয়ায় এক ঘণ্টা যাত্রা বিরতির পরে পদ্মাসেতু অতিক্রম করে ভাঙ্গা স্টেশনে পৌঁছাতে সময় লেগেছে আরও এক ঘণ্টা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. কামরুল আহসান, প্রকল্প পরিচালক মো. আফজাল হোসেন ও প্রকল্প ব্যবস্থাপক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ জামিউল ইসলামসহ দেশি-বিদেশী প্রকৌশলীরা উপস্থিত ছিলেন।
সংশ্লিষ্টরা জানান, রাজধানীর গেণ্ডারিয়া স্টেশন থেকে বুড়িগঙ্গা ও ধলেশ্বরী অতিক্রম করে পথে পথে লাইন পর্যবেক্ষণ করে ট্যাক কারটি মাওয়ায় পৌঁছাতে সময় লাগে পৌনে দুই ঘণ্টা। পদ্মাসেতু রেলপথে এখন চলছে ফিনিশিংয়ের কাজ।
Advertisement
মাসখানেক পর ঢাকা থেকে ভাঙ্গা যাত্রীবাহী রেল চালু হবে। ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৭২ কিলোমিটারে রেল চালু হবে ২০২৪ সালে।
পদ্মাসেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. আফজাল হোসেন জানান, আজকে মূলত ঢাকা থেকে মাওয়া পর্যন্ত কী কী কাজ বাকি আছে সেগুলো দেখার জন্য এসেছেন। ইতোমধ্যে ঢাকা থেকে মাওয়া পর্যন্ত রেললাইন স্থাপন শেষ হয়েছে। এখন শুধুমাত্র কিছু ট্যাম্পিং, প্যাকিং, লেভেলিংয়ের কাজ বাকি।
তিনি বলেন, ঢাকা-থেকে মাওয়া অংশের অগ্রগতি প্রায় ৮৫ শতাংশ। স্টেশনের কাজ কিছু বাকি আছে। সিগন্যালের কাজ শেষ হয়নি। আর ট্র্যাকের কিছু ট্যাম্পিংয়ের কাজ অসমাপ্ত আছে। রেললাইন বসিয়ে ফেলা হয়েছে। কিন্তু লেভেলিং, এলাইনমেন্টসহ টুকিটাকি কাজ করতে আরও একমাস সময় লাগবে।
Advertisement
পদ্মাসেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের ট্যাকে ইঞ্জিনিয়ার সৈয়দ শওকত আলী লেবু বলেন, প্রথমবারের মত আজ ঢাকার গেণ্ডারিয়া থেকে পরীক্ষামূলক রেলে চড়ে মাওয়ায় পৌঁছালাম। কাজের অগ্রগতি যথেষ্ট ভালো। এখন ফিনিশিংয়ের অল্প কিছু কাজ বাকি আছে, যা ক’দিনের মধ্যেই সন্তোষজনকভাবে শেষ হবে। সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে যেকোনো সময় প্রধানমন্ত্রী এর উদ্বোধন করবেন এবং যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হবে।