কলেজের নামে ‘আদর্শ’, নেই পাঠদানের পরিবেশ (ভিডিও)

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),মাগুরার মহম্মদপুর প্রতিনিধি ,শনিবার, ১৯ আগস্ট ২০২৩ : মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলা সদরে ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয় আদর্শ টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজ। এমপিওভুক্তও হয়েছে কলেজটি। তবে, প্রতিষ্ঠার ২১ বছর পরও এর অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়নি। কলেজের নামে ‘আদর্শ’ শব্দটি থাকলেও সেখানে পাঠদানের আদর্শ পরিবেশ নেই। জরাজীর্ণ কক্ষে হয় ক্লাশ। অন্যান্য সুবিধা থেকেও বঞ্চিত শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা।

Advertisement

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, মহম্মদপুর উপজেলা সদরের প্রাণকেন্দ্রে প্রায় এক একর জমির ওপর কলেজ ক্যাম্পাস। টিনের চাল ও টিনের বেড়ার ঘরে চলছে শিক্ষা ও দাপ্তরিক কার্যক্রম।

২০০৪ সালে কলেজটি এমপিওভুক্ত হয়। এসএসসি (ভোকেশনাল) ও এইচএসসি (বিএমটি) শাখায় শিক্ষার্থী আছেন ৩৫০ জন। সরকারি বেতনভুক্ত (এমপিও) নয়জন শিক্ষক ও ছয়জন কর্মচারী দিয়ে চলছে কলেজটি। এটি প্রতিষ্ঠা করেন বর্তমান অধ্যক্ষ আবু আব্দুল্লাহেল কাফি। তিনি মহম্মদপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের নেতা।

কলেজ প্রতিষ্ঠার পর ২১ বছরেও পাকা একাডেমিক ভবন হয়নি। টিনের চাল ও মাটির মেঝে। শ্রেণিকক্ষ ও অফিস রুম জরাজীর্ণ। কয়েক বছর আগে ঝড়ে উড়ে গেছে ঘরের চাল। সেটাও মেরামত করা হয়নি। ভাঙা ঘরের ল্যাব থেকে চুরি হয়ে গেছে কম্পিউটারগুলো।

Advertisement

এ কলেজ থেকে এইচএসসি (বিএমটি) পরীক্ষা দেওয়া শিক্ষার্থীদের ফল সন্তোষজনক। গত তিন বছরে পাসের হার প্রায় ৯০ ভাগ। ২০০৫ সাল থেকে এখানে এইচএসসি (বিএমটি) পরীক্ষার কেন্দ্র থাকলেও ভবন ও আসবাবপত্র না থাকায় পাশের আরেকটি কলেজে পরীক্ষা নেওয়া হয়।

কলেজের শিক্ষার্থী সাব্বির হোসেন, মারুফ হাসান, নুরাইয়া, কাজল রেখা ও রেহেনা খাতুন আক্ষেপ করে বলেন, প্রায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বহুতল ভবন গড়ে উঠলেও এই কলেজে তা হয়নি। নেই স্যানিটেশন ব্যবস্থা। সবুজ গাছপালায় ঘেরা মনোরম পরিবেশের বড় ক্যাম্পাস থাকলেও ভবন নেই।

কলেজের সহকারী অধ্যাপক রেজাউল হক বলেন, উপজেলার প্রায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সরকারি সহায়তায় বহুতল ভবন হয়েছে। ব্যতিক্রম শুধু মহম্মদপুর আদর্শ টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজ। ২০ জন শিক্ষার্থীও নেই, এমন কলেজে চারতলা একাডেমিক ভবন হলেও আমাদের কলেজে আজও ভবন হয়নি। জরাজীর্ণ টিনের ঘর ব্যবহারের সম্পূর্ণ অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বৃষ্টি এলে পানি পড়ে। আমরা খুবই কষ্টে আছি।

Advertisement

অধ্যক্ষ আবু আব্দুল্লাহেল কাফি বলেন, কলেজটিতে ভবনের অভাবে সবাই কষ্টে আছেন। একটি ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হবে। ইতোমধ্যে মাটি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।