আইডিয়ালের সেই ছাত্রীকে নিরাপদ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ (ভিডিও)

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),আইন আদালত প্রতিনিধি ,বৃহস্পতিবার, ১৭ আগস্ট ২০২৩ : মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির দাতা সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদকে বিয়ে করা আইডিয়ালের সেই ছাত্রীকে নিরাপদ হেফাজতে (সেফ কাস্টডি) পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার বিচারপতি শেখ জাকির হোসেন ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে খন্দকার মুশতাককে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।

Advertisement

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবুল হাশেম। পরে সাঈদ আহমেদ রাজা মানবজমিনকে বলেন, আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থীকে বিয়ে করেছেন ওই প্রতিষ্ঠানেরই দাতা সদস্য খন্দকার মোশতাক আহমেদ। শিক্ষার্থীর বাবার দাবি তার মেয়ে স্বেচ্ছায় এ বিয়ে করেননি। তাকে ট্রাপে ফেলে বিয়ে করেছে। জন্মনিবন্ধনে তার মেয়ের বেশি বয়সও দেখানো হয়েছে। এই অবস্থায় আদালত ভিকটিমের বয়স নির্ধারণ করা জরুরি বলে মনে করেছেন। এ কারণে ওই শিক্ষার্থীর বয়স নির্ধারণ না হওয়া পর্যন্ত নিরাপদ হেফাজতে (সেইফ কাষ্টডিতে) রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।

গত ১লা আগস্ট ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এর বিচারক বেগম মাফরোজা পারভীনের আদালতে ওই শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে মামলা করেন।

Advertisement

মামলায় অপরাধের সহযোগিতার জন্য ওই কলেজের অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদীকে আসামি করা হয়। মামলার আরজিতে বাদী উল্লেখ করেন, তার মেয়ে (ভিকটিম) মতিঝিল আইডিয়ালের একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী। আসামি মুশতাক বিভিন্ন অজুহাতে কলেজে আসতেন এবং ভিকটিমকে ক্লাস থেকে প্রিন্সিপালের কক্ষে ডেকে আনতেন। খোঁজ-খবর নেয়ার নামে আসামি ভিকটিমকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে প্রলুব্ধ করতেন। 

কয়েকদিন পর আসামি মুশতাক ভিকটিমকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কুপ্রস্তাব দেন। এতে রাজি না হওয়ায় ভিকটিমকে তুলে নিয়ে  জোরপূর্বক বিয়ে এবং তাকে ও তার পরিবারকে ঢাকা ছাড়া করবে বলে হুমকি দেয় মুশতাক। ভিকটিম এরকম আচরণের বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষকে ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ করেন। অধ্যক্ষ ব্যবস্থা নিচ্ছি বলে আসামি মুশতাককে তার রুমে নিয়ে আসেন এবং ভিকটিমকেও ক্লাস থেকে নিয়ে এসে রুমের দরজা বন্ধ করে দিয়ে আসামিকে সময় ও সঙ্গ দিতে বলেন। এ বিষয়ে বাদী প্রতিকার চাইতে গেলেও কোনো সহযোগিতা করেননি অধ্যক্ষ বরং আসামি মুশতাককে অনৈতিক সাহায্য করে আসতে থাকেন।

Advertisement

বাদী উপায় না পেয়ে গত ১২ জুন ভিকটিমকে ঠাকুরগাঁওয়ের বাড়িতে নিয়ে গেলে আসামি মুশতাক তার লোকজন দিয়ে ভিকটিমকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এরপর বাদী জানতে পারেন আসামি ভিকটিমকে একেক দিন একেক স্থানে রেখে অনৈতিক কাজে বাধ্য করেছেন এবং যৌন নিপীড়ন করছে।