ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),আইন আদালত প্রতিনিধি ,বৃহস্পতিবার, ১৭ আগস্ট ২০২৩ : মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির দাতা সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদকে বিয়ে করা আইডিয়ালের ছাত্রীর বয়স ১৮ হয়েছে কিনা পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) বিচারপতি শেখ জাকির হোসেন ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
কোর্ট বলেছে, মামলার নথি পর্যলোচনা করে দেখা যাচ্ছে, এসএসসির সার্টিফিকেট অনুযায়ী ভিক্টিমের বয়স ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে। অন্যদিকে ভিক্টিম একাদশ শ্রেণির প্রথম বর্ষের ছাত্রী। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এসএসসি অথবা এইচএসসি ছাত্র-ছাত্রীদের বয়স পরিমাপের ক্ষেত্রে এই ছাত্রীর বয়স ১৮ হওয়ার কথা নয়। যেহেতু ভিক্টিমের জন্ম তারিখ এবং তার একাডেমিক স্তরের ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলো নির্দেশ করে তার মধ্যে অসঙ্গতি থাকার কারণে ভিক্টিমের প্রকৃত বয়স নির্ধারণের দাবি রাখে।
এমতাবস্থায় ভিক্টিমের বয়স নির্ধারণের ক্ষেত্রে তাকে নিরাপদ হেফাজতে রাখা আবশ্যক। এ কারণে তাকে নিরাপদ হেফাজতে রেখে বয়স নির্ধারণ পূর্বক রিপোর্ট প্রদানের নির্দেশ দেয়া হলো। এই রিপোর্ট অনুযায়ী যদি ভিক্টিম সাবালিকা না হয়ে থাকে তাহলে তাকে আদালত যতদিন পর্যন্ত সাবালিকা উপযুক্ত মনে না করবেন ততদিন পর্যন্ত নিরাপদ হেফাজতে থাকবেন।
তবে ছাত্রীকে প্রলোভন ও ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় খন্দকার মুশতাক আহমেদকে ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর আগে হাইকোর্ট আসামি খন্দকার মুশতাক আহমেদ, আইডিয়ালের ছাত্রী ও তার বাবার বক্তব্য শোনেন।
Advertisement
এসময় বিচারক আইডিয়ালের সেই ছাত্রীকে জিজ্ঞেস করে, আপনাকে কোন ধরনের ভয়ভীতি কেউ দেখিয়েছে কিনা, কোন ভয় পেলে আমরা আপনাকে খাস কামরায় নিয়ে জিজ্ঞেস করি। এসময় আইডিয়ালের সেই ছাত্রী বলেন, আমি সৎ জ্ঞানে সেচ্ছায় তাকে (খন্দকার মুশতাক আহমেদকে) বিয়ে করেছি। আমকে কেউ কোন প্রকার ভয়ভীতি দেখায়নি।
এদিকে যখন জামিন শুনানি চলছিলো অপরাধবোধ থেকে বাবার চোখে রাখতে পারেনি মেয়ে। বাবা যতবার এজলাসের সামনে এসেছিল ততবারই মেয়ে দেয়ালের দিকে তাকিয়ে ছিলেন।
শুনানি শেষে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলেন, রক্ষক হয়ে ভক্ষকের কাজ করেছেন দাতা সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদ।
প্রসঙ্গত, কলেজ ছাত্রীকে প্রলোভন ও ধর্ষণের অভিযোগে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির দাতা সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদকে প্রধান আসামি করে ১ আগস্ট মামলা হয়। ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগে কলেজের অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদীকেও মামলায় আসামি করা হয়। ভুক্তভোগী কলেজছাত্রীর বাবা এ মামলা করেন।