তুষারঝড়ের আঘাতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১০ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। ওয়াশিংটনসহ অন্তত ১০টি অঙ্গরাজ্যে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। এছাড়া শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া এ তুষারঝড় আগামী ৩৬ ঘণ্টা স্থায়ী হতে পারে বলে জানিয়েছে দেশটির আবহাওয়া বিভাগ। খবর দ্য টেলিগ্রাফ ও বিবিসির।
জাতীয় আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ওয়াশিংটন, ফিলাডেলফিয়া, বাল্টিমোর ও নিউইয়র্কে ক্রমেই বাড়ছে ঝড়ের প্রবণতা। এ অঞ্চলগুলোতে অবস্থানভেদে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার। এসব রাজ্যে প্রায় ৫ কোটি মানুষ বসবাস করে।
এছাড়া তুষারঝড়ের কারণে সমস্যা দেখা দিয়েছে বিমান চলাচলে। ৪ হাজার ৬৭৫টি ফ্লাইটের যাত্রা বিলম্বসহ বাতিল করা হয়েছে ৭ হাজার ১০০ ফ্লাইট। যার অধিকাংশই নিউইয়র্ক ও ফিলাডেলফিয়ার বিমানবন্দরের ফ্লাইট। প্রায় ১ লাখ ১৪ হাজারেরও বেশি বাড়ি বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
নিউইয়র্কে শনিবার সকাল পর্যন্ত টানা তুষার ঝড়ে ১৮ থেকে ২৪ ইঞ্চি পর্যন্ত তুষারের স্তূপ জমে গেছে। এছাড়া ফিলাডেলফিয়ায়ও ১২ থেকে ১৮ ইঞ্চি তুষারের স্তুপ জমতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ওয়াশিংটনের এক কর্মকর্তা বলেন, ২০১০ সালে এ রাজ্যে ভয়াবহ তুষারপাতকে ছাড়িয়ে যেতে পারে এবারের তুষারপাত। সেসময় ১৭ দশমিক ৮ ইঞ্চ তুষারের স্তুপে ঢেকে যায় ওয়াশিংটন। এ অঙ্গরাজ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ তুষারের স্তুপ জমে ১৯২২ সালে। ওই বছর ২৮ ইঞ্চি তুষারের স্তুপে ঢেকে যায় ওয়াশিংটন। এ সময় একটি ভবনের ছাদ ধসে পড়ে ১০০ মানুষ নিহত হয়। তবে এবারের তুষারপাত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আগের সব রেকর্ডকে ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ওয়াশিংটনের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি অ্যান্ড ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সির পরিচালক ক্রিস গেলডার্ট বলেন, পরিস্থিতির খুব দ্রুতই খারাপ হচ্ছে। নিউ ইয়র্ক সিটির মেয়র বিল দে ব্লাসিও শহরের বাসিন্দারের নিরাপদে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।