র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে কমান্ডার খন্দকার আল-মঈন
ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি,শুক্রবার, ০৪ আগস্ট ২০২৩ : টাঙ্গাইলের সখিপুরে জোড়া খুনের রহস্য উদঘাটন করেছে র্যাব। ওই হত্যাকাণ্ডে মূল পরিকল্পনাকারী মোস্তফাসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
Advertisement
শুক্রবার (৪ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ানবাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল-মঈন জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) রাতে র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র্যাব-১৪ এর একটি দল রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও টাঙ্গাইলের সখিপুরে অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী মো. মোস্তফা মিয়া এবং তার সহযোগী আলামিনকে গ্রেপ্তার করে। উদ্ধার করা হয় নিহত শাহজালালের ব্যবহৃত দুটি মোবাইল ফোন।
শাহজালাল টাঙ্গাইলের সখিপুরের হামিদপুর বাজারে দীর্ঘদিন ধরে মনোহারি ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের ব্যবসা করতেন। শাহজালালের চাচা মজনু মিয়া কৃষিকাজ করতেন। তিনি কৃষিকাজের পাশাপাশি মাঝে মাঝে শাহজালালকে ব্যবসায়িক কাজে সহযোগিতা করতেন। শাহজালাল মাঝে মাঝে দোকানে ঘুমাতেন। শাহজালাল যেদিন বাড়িতে রাতযাপন করতেন, সেদিন দোকান ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের টাকা (দেড় থেকে ২ লাখ) বাড়িতেই রাখতেন। গত ১৯ জুলাই শাহজালাল দোকান বন্ধ করে বাড়িতে ফেরার সময় চাচা মজনু মিয়াকে দেখতে পেয়ে তাকে মোটরসাইকেলে তুলে নেন। পথে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন শাহজালাল ও মজনু।
Advertisement
মোস্তফার পরিকল্পনা ও নেতৃত্বে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। মোস্তফা এবং আলামিন স্থানীয় একটি সমিতির সদস্য ছিলেন। মোস্তফা সমিতি থেকে উচ্চ সুদে ঋণ নেন। সেই ঋণের টাকা পরিশোধ ও পরিবারের খরচ বহনের জন্য বেশকিছু অর্থের প্রয়োজন ছিল তার। শাহজালাল যে রাতে বাড়িতে ঘুমাতেন, সেই রাতে টাকা বাড়িতে রাখেন, বিষয়টি মোস্তফা ও আলামিন জানতেন। রাতে বাড়ি ফেরার পথে শাহজালালের কাছ থেকে টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার ছিল মোস্তফার। বিষয়টি আলামিনকে জানান মোস্তফা। আলামিন তাতে সম্মতি দেন।
পরিকল্পনা অনুযায়ী ১৯ জুলাই রাতে মোস্তফা ও আলামিন টাঙ্গাইলের সখিপুরের বাঘের বাড়ি এলাকায় নির্জন জঙ্গলে ওৎ পেতে থাকেন। শাহজালাল মোটরসাইকেলযোগে তার চাচা মজনু মিয়াকে নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছালে মোস্তফা শাহজালালের মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে লোহার রড দিয়ে মাথায় আঘাত করে। শাহজালাল মাটিতে লুটিয়ে পড়লে মোস্তফা শরীরের বিভিন্ন স্থানে উপর্যুপরি আঘাত করতে থাকেন। মজনু মিয়া চিৎকার করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে আলামিন লোহার রড দিয়ে মজনু মিয়ার মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে উপর্যুপরি আঘাত করেন। পরে মোস্তফা ও আলামিন মাটিতে লুটিয়ে থাকা শাহজালাল ও মজনু মিয়াকে লোহার রড দিয়ে পুনরায় আঘাত করে তাদের মৃত্যু নিশ্চিত করেন।