ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),দিনাজপুর প্রতিনিধি,মঙ্গলবার, ০১ আগস্ট ২০২৩ : দিনাজপুরের হিলি বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থলবন্দর। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এই বন্দরে আসেন ব্যবসায়ীরা। এখানে আছে ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট। প্রতিদিন বাংলাদেশ ও ভারতের শত শত পাসপোর্টধারী যাত্রী যাওয়া-আসা করে এই চেকপোস্ট দিয়ে। কিন্তু, পাশের হিলি স্টেশনে দাঁড়ায় না কোনো ঢাকাগামী আন্তঃনগর ট্রেন। ফলে, রেলসেবা থেকে বঞ্চিত পাসপোর্টধারী যাত্রী, ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা।
Advertisement
এদিকে, হিলি রেল স্টেশনে সান্ধ্য আইন জারি করেছে বিজিবি। সন্ধ্যা ৬টা বাজলেই স্থানীয় বাসিন্দাসহ বাইরে থেকে আসা কাউকে এই স্টেশনে থাকতে দেওয়া হয় না। এতে ক্ষিপ্ত এলাকাবাসী।
একজন শিক্ষার্থী বলেন, আমরা ঢাকা, রাজশাহীর বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করি। হিলি স্টেশনে কোনো আন্তঃনগর ট্রেন দাঁড়ায় না, তাই আমাদের পার্শ্ববর্তী বিরামপুর বা জয়পুরহাট স্টেশন থেকে ট্রেনে উঠতে হয়। এতে চরম বিপাকে পড়তে হয় আমাদের। এছাড়া, বিজিবি বিকেলের পর স্টেশনে থাকতে দেয় না।
কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, বর্তমান হিলিতে বিদ্যুতের অনেক লোডশেডিং হয়। তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছি। এই স্টেশনে বিকেলে একটু ঠান্ডা বাতাসে গা জুড়াতে আসি। সঙ্গে পরিবারের সদস্যদেরও নিয়ে আসি। কিন্তু, বিজিবি আমাদের স্টেশন থেকে তাড়িয়ে দেয়।
Advertisement
আরটিভি‘র হিলি প্রতিনিধি আব্দুল আজিজ রাইজিংবিডিকে বলেন, গণমাধ্যমকর্মীরা নিউজের জন্য মাঝেমধ্যে রেল স্টেশনে ফুটেজ নিতে যাই। কিন্তু, বিজিবির সদস্যরা আমাদের এখানে থাকতে দেয় না। মাঝেমধ্যে তাদের সাথে আমাদের বাকবিতণ্ডা হয়। পরিচয় দিলেও তারা আমাদের মূল্যায়ন করে না।
আমদানি-রপ্তানিকারক ও হিলি উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শাহিনুর রেজা শাহিন রাইজিংবিডিকে বলেন, হিলি রেল স্টেশনে বিজিবি সান্ধ্য আইন জারি করেছে। বিকেল হলেই এখানে কোনা জনসাধারণকে থাকতে দেয় না। হিলি বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থলবন্দর। এখান থেকে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব সরকার পেয়ে থাকে। দেশের উন্নয়ন হয়, কিন্তু আমাদের এখানে কোনো উন্নয়ন নেই। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যবসায়ীরা এই বন্দরে আসে। আবার প্রতিদিন এখানকার চেকপোস্ট দিয়ে দুই দেশের শত শত পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার হয়ে থাকে। কিন্তু, এখানে রেল স্টেশন থাকলেও কোনো আন্তঃনগর ট্রেনের স্টপেজ নেই। আমি চাই, অনতিবিলম্বে সরকার হিলি রেল স্টেশনের সমস্যা সমাধান করবে।
Advertisement
এ বিষয়ে হিলি পৌরসভার মেয়র জামিল হোসেন চলন্ত রাইজিংবিডিকে বলেন, কোনো আন্তঃনগর ট্রেন হিলি স্টেশনে দাঁড়ায় না। এছাড়া, বিকেলের পর স্থানীয়দের স্টেশনে থাকতে দেওয়া হয় না। কেন দেওয়া হয় না, এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।