৭ বাসে বিএনপির অগ্নিসংযোগ, ২৪টি ভাঙচুর: মালিক সমিতি (ভিডিও)

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি,সোমবার, ৩১ জুলাই ২০২৩ : অবস্থান কর্মসূচির নামে বিএনপি শনিবার (২৯ জুলাই) রাজধানী ঢাকায় চলাচলকারী বিভিন্ন পরিবহনের সাতটি বাসে আগুন দিয়ে সম্পূর্ণ ধ্বংস এবং ২৪টি গাড়ি ভাঙচুর করেছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি। রোববার (৩০ জুলাই) সংগঠনটির সভাপতি মসিউর রহমান রাঙ্গা ও মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ এবং বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খান ও সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী যৌথ বিবৃতিতে এ তথ্য জানান।

Advertisement

বিবৃতিতে তারা বলেন, ২০১৪-২০১৫ সালে বিএনপি-জামায়াত আন্দোলনের নামে সারাদেশে পাঁচ হাজার গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করেছে এবং ৯২ জন শ্রমিককে হত্যা করেছে। অতীতের মতো আবারও আন্দোলন কর্মসূচির নামে সহিংসতা শুরু করেছে দলটি। আন্দোলনের নামে জ্বালাও-পোড়াও কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।

এ ধরনের ধ্বংসাত্মক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়াসহ ক্ষতিগ্রস্ত গাড়িগুলোর ক্ষতিপূরণ আন্দোলনকারীদের কাছ থেকে আদায় করে দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানান তারা।

শনিবার (২৯ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর প্রবেশ মুখ মাতুয়াইলে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের জেরে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দীর্ঘ সময় যান চলাচলা বন্ধ শেষে দুপুর আড়াইটার পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

Advertisement

তবে জন সাধারণের নিরাপত্তার জন্য সেখানে বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ ও আনসার গার্ড ব্যাটালিয়নের (এজিবি) সদস্য মোতায়ন রয়েছে। এর আগে দুপুর ১২টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত উভয় পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ ঘটে।

শনিবার দুপুর ‍দুপুর ১২টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মাতুয়াইলে অবস্থান নেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। এ সময় পুলিশ তাদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে।

বিএনপির নেতাকর্মীরাও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। এ সময় তিনটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। তবে আগুন কারা দিয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

Advertisement

ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার লিমা খানম বলেন, মাতুয়াইল এলাকায় তিনটি বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে। প্রথমে শ্রাবণ পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেওয়া হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই নিয়ন্ত্রণে আনেন স্থানীয়রা। পরে স্বদেশ পরিবহন ও তিশা পরিবহনের বাসে আগুন দেওয়া হয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে।