গয়েশ্বর-হারুনের মধ্যাহ্নভোজ সরকারের ফাঁদ: এ্যানি

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি,শনিবার, ২৯ জুলাই ২০২৩ : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের সঙ্গে ডিবিপ্রধানের খাবারের ছবি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া সরগরম। এর আগে, ধোলাইখালে অবস্থান কর্মসূচিতে পুলিশ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যকার সংঘর্ষে আহত হন গয়েশ্বর। এরপর তাকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়।

Advertisement

:

ডিবিপ্রধানের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজের বিষয়ে জানতে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। এরপর এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হয় বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানির কাছে।

শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি রাইজিংবিডি-কে বলেন, ‘এটা সরকারের একটি সাজানো ট্র্যাপ (ফাঁদ)। আন্দোলনকে ভিন্ন দিকে নিয়ে যেতে বিরোধীদলের অনেককেই নানা রকম ফাঁদে ফেলা হবে। আজকে গয়েশ্বর দাদা, আমান ভাইয়ের সঙ্গে হয়েছে। কাল আমার সাথেও হতে পারে’।

এসময় সরকারের এসব ‘কৌশল’ থেকে নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন এ্যানি।

এর আগে, গয়েশ্বর ও হারুন অর রশীদের একসঙ্গে বসে খাওয়ার ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে দেখা যায়, শনিবার (২৯ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে তারা একসঙ্গে দুপুরের খাবার খান।

Advertisement

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এবং ডিএমপির ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ একসঙ্গে নানা প্রকার মাছ, মাংস, বিরিয়ানি ও মাল্টা, ড্রাগনসহ বিভিন্ন প্রকারের ফল দিয়ে মধ্যাহ্নভোজ সারেন।

অন্যদিকে, শনিবার দুপুরে রাজধানীর গাবতলীতে দলীয় কর্মসূচি পালনকালে সেখান থেকে বিএনপি নেতা আমানউল্লাহ আমানকে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। পথে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাকে দেখতে যায় প্রধানমন্ত্রীর একটি প্রতিনিধিদল। তারা প্রধানমন্ত্রীর পাঠানো দুপুরের খাবার, বিভিন্ন প্রকার মৌসুমি ফল ও জুসের প্যাকেট দেন আমানকে।

 

এদিন বিকেলে হাসপাতাল থেকে বের হয়ে রাজধানীর অন্য একটি বেসরকারি হাসপাতালে যাওয়ার পথে আমানউল্লাহ আমান নিজের ফেসবুক পেজ থেকে লাইভে এসে কথা বলেন। সেখানে তিনি দাবি করেন, খাবার এবং ফল পাঠানো এসব ‘নাটক’

আমানউল্লাহ আমান বলেন, ‘আহত অবস্থায় হাসপাতালে থাকার সময় ওষুধ দিয়ে আমাকে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়েছিল। সে সময় কে বা কারা আমাকে দেখতে এসেছিল, খাবার বা ফলের ঝুড়ি দিয়ে গেছে, তা বোঝার মতো শারীরিক অবস্থা আমার ছিল না। আমি সেটা বুঝতে পারিনি।’

 

চলমান আন্দোলনে তার ভূমিকা বিতর্কিত করা, তার পিঠে ছুরি মারা এবং নেতাকর্মীদের বিভ্রান্ত করার জন্য এ নাটক সাজানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেন আমানউল্লাহ আমান। তিনি বলেন, সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। এই আন্দোলনে আছি। এতে মৃত্যু হলেও পিছপা হবো না।

এ বিষয়ে নেতাকর্মীদের বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানান ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান।

Advertisement