ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),আইন আদালত প্রতিনিধি,রোববার, ২৩ জুলাই ২০২৩ : জামিনে থাকার পরও কলেজ শিক্ষার্থী মো. আশরাফুল হাওলাদারকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান ও সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মিজানুর রহমান হাইকোর্টে হাজির নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। পরে আদালত এ বিষয়ে শুনানির জন্য সোমবার দিন ঠিক করে দেন।
Advertisement
রোববার (২৩ জুলাই) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চে হাজির হয়ে তারা ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
আদালতে আশরাফুল হাওলাদারের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আলী আহসান মোল্লা। দুই পুলিশ কর্মকর্তার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আবু রেজা মো. কাইয়ুম খান, তার সঙ্গে ছিলেন শারমিনা হক। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।
মো. আশরাফুল হাওলাদারকে গ্রেপ্তারের সময় তার জামিনে থাকার বিষয়টি তার আইনজীবী পুলিশ সদস্যদের ফোন করে জানিয়েছিলেন এমন তথ্য জানালে তার কল রেকর্ড তলব করেন আদালত। তবে আইনজীবী বিটিআরসির কাছে কল রেকর্ড চাইলে আদালতের আদেশ ছাড়া দিবেন না বলে জানায়। তখন আদালত সোমবার আবার দিন ঠিক করে দেন।
Advertisement
আইনজীবী আবু রেজা মো. কাইয়ুম খান চ্যানেল 24 কে বলেন, আশরাফুল হাওলাদারকে গ্রেপ্তারে কোনো ইনটেশন ছিল না। তা ছাড়া সে সময় তারা আদালতের জামিন সংক্রান্ত কোনো ডকুমেন্টও দেখাতে পারেননি। তারপরও আমরা আদালতের কাছে নি:শর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছি। আদালত আগামীকাল সোমবার শুনানির জন্য দিন ঠিক করে দিয়েছেন।
আগাম জামিনে থাকার পরও কলেজ শিক্ষার্থী মো. আশফুল হাওলাদারকে গ্রেপ্তারের ঘটনা নজরে আনলে গত ২০ মে আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে রুলসহ আদেশ দেন। আদেশে পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান ও সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মিজানুর রহমানকে তলব করা হয়।
জামিনে থাকার পরও উদ্দেশ্যমূলক গ্রেপ্তার করে দেশের ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়।
এর আগে গত ১৮ জুন আদালতে হাজির হয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চান ওসি) মো. মনিরুজ্জামান ও সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মিজানুর রহমান। কিন্তু আদালত আবেদন গ্রহণ না করে রোববার (২৩ জুলাই) ফের তাদের আসতে বলেন।
Advertisement
গত ২০ মে একটি জাতীয় দৈনিকে ‘জামিন নেওয়া শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদন ২১ মে আদালতের নজরে আনেন আইনজীবী আলী আহসান মোল্লা। তার প্রেক্ষিতেই ওসিসহ এএসআইকে তলব করা হয়।