পাবলিক টয়লেটের অভাবে যত্রতত্র চলছে মলমূত্র ত্যাগ; প্রভাব পড়ছে জনস্বাস্থ্যের ওপর (ভিডিও)

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি, শুক্রবার, ২১ জুলাই ২০২৩ : নগর-মহানগরে কাজের জন্য প্রায় সবাইকে বাইরে বেরোতে হয়। ঘরের ফেরার আগ পর্যন্ত প্রাকৃতিক ডাকের সাড়া দিতে যেতে হয়, নিজ কর্মক্ষেত্র না হয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বাজার বা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে। আর চাপ যদি খুব বেশি হয় তাহলে ঝোপঝাড়ের আড়াল বা অনেক সময় প্রকাশ্যেই কাজ সারেন ঢাকাসহ অন্য বড় শহরের অনেক পুরুষ। লাজ-শরমের মাথা খেয়ে এই কাজ করা ব্যক্তিকে হয়তো দোষারোপ করাই যায়, পরিবেশ নষ্ট করায়। কিন্তু তার সামনে বিকল্প কি।

Advertisement

বড় শহরের বিপুল নারী-পুরুষ-শিশুর জন্য যে সংখ্যায় পাবলিক টয়লেট থাকার কথা তা নেই। যেমন ঢাকায় দু্ই কোটিরও বেশি নগরবাসীর জন্য গণশৌচাগার মাত্র ১৬৭টি। অন্য বড় শহরেও এই সংখ্যা চাহিদা বিপরীতে অপ্রতুল।

নগর পরিকল্পনাবিদ ও উন্নয়ন সহযোগীরা বলছেন, স্বাস্থ্যসম্মত পাবলিক টয়লেটের প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব বুঝতে ব্যর্থ হয়েছেন জনপ্রতিনিধিরা। যার দায় এড়াতে পারে না স্থানীয় সরকার বিভাগও।

Advertisement

এ বিষয়ে ওয়াটার এইডের কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিন জাহান বলেন, যারা লম্বা সময় বাইরে কাজ করে। তাদের সবারই টয়লেট ব্যাবহারের প্রয়োজন হয়। কিন্তু আসলেই কি তারা পর্যাপ্ত পাবলিক টয়লেট পাচ্ছে কিনা। সেটি আসলেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ভাবার প্রয়োজন।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, প্রতি আধা কিলোমিটারে একটি পাবলিক থাকা প্রয়োজন। কিন্তু আমাদের ঢাকার শহরে এটি নেই। এজন্য কিন্তু শহরের জনস্বাস্থ্যের সঙ্কা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এদিকে পরিচ্ছন্নতার ঘাটতি, কোন ক্ষেত্রে নারীরা নিরাপত্তার ঘাটতিও বোধ করেন কিছু পাবলিক টয়লেটে। আবার বন্ধ থাকে কিছু গণশৌচাগার।

Advertisement

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গণশৌচাগার নির্মাণে শুধু বিদেশি অর্থ সহায়তার মুখাপেক্ষী হলে চলবে না। নিজেদের সমস্যা সমাধানে নিজেদেরই অর্থ ব্যয় করতে হবে স্থানীয় সরকার বিভাগকে।