কিয়ামাতের দিন আল্লাহর বিচারালয়ে মানুষের মুক্তির একমাত্র পথ হচ্ছে তাঁর বিধি-বিধান মেনে চলার পাশাপাশি তাঁকে ভয় করা। কারণ আল্লাহর ভয় মানুষকে পাপ-অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখে। এ জন্য আল্লাহ ও তাঁর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কুরআন-হাদিসের অসংখ্য জায়গায় আল্লাহকে ভয় করার কথা বলেছেন। এ ভয় কেন, কত ধরনের এবং ভয়ের তাৎপর্য কী? তা তা তুলে ধরা হলো-
তাফসিরকারগণ আখিরাতে আল্লাহর ভয়ের ব্যাখ্যা এভাবে করেছেন যে, ভয় হবে দু’ধরণের-
প্রথম ভয়- প্রত্যেক ব্যক্তির অপরাধের শাস্তির ভয়।
দ্বিতীয় ভয়- আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব ও মহিমা, তাঁর অনন্ত অসীম ক্ষমতাও কুদরাতের কারণে মানুষের মনে স্বাভাবিকভাবে যে ভয়ের উদ্রেক হয়, সেই ভয়।
যারা আল্লাহর পথ এবং মতের উপর অটল ও অবিচল থাকবে তাদের কোনো ভয় থাকবে না ঠিকই কিন্তু আল্লাহ তাআলার অসাধারণ প্রভাব ও দাপটের ভয় সর্বদা হবে। আল্লাহর প্রিয় ব্যক্তিদের অন্তরে এ ভয় বেশি হয়ে থাকে।
আল্লামা আলুসী বলেছেন, আল্লাহ পাকের শ্রেষ্ঠত্ব ও মহিমার ভয়, তা হবে পরিপূর্ণ ভাবে। আর যারা তার সর্বাধিক আপন, তাদের ভয় অত্যন্ত বেশি।
হাকিমুল উম্মাত থানবী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ভয়ের দৃষ্টান্তে বলেন, কোনো অভিযুক্ত ব্যক্তিকে যদি তার আইনজীবী এ মর্মে নিশ্চিত করেন যে, এ মোকাদ্দমায় কোনো শাস্তি এবং ভয় নেই, তারপরও অভিযুক্ত ব্যক্তির মনে স্বভাবগতভাবে অবশ্যই ভয় থাকবে।
পরিশেষে…
আখিরাতের আল্লাহর ক্ষমা লাভ করার অন্যতম উপায় হলো তাঁকে ভয় করা। আল্লাহ তাআলা উম্মাতে মুসলিমাকে তার ভয় ও ভালোবাসা লাভ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।