ওষুধ রাখার ফ্রিজে মাছ-মাংস, যশোরে ৩ ক্লিনিককে জরিমানা

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),যশোর প্রতিনিধি,শুক্রবার, ১৪ জুলাই ২০২৩ : ক্লিনিকের ওষুধ রাখার ফ্রিজে রাখা হয়েছে মাছ-মাংস। অপরিষ্কার ও অপরিচ্ছন্ন চারপাশ। মানা হয়নি ক্লিনিক তৈরির কোন নিয়ম। একজন মেডিকেল অফিসার ও ডিপ্লোমা ছাড়া অদক্ষ নার্স দিয়েই চলছে ২৪ ঘণ্টার কার্যক্রম। আবার নিয়মিত গর্ভবতী রোগী ভর্তি এবং সিজারও চলছে দেদারছে।

Advertisement

যশোরের মণিরামপুরে মনোয়ারা ক্লিনিক, মনিরামপুর নার্সিং হোম এন্ড ডায়াগনষ্টিক ক্লিনিক ও শহরের সিটি হাসপাতালে প্রশাসনের অভিযানের পর বেরিয়ে আসে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) জেলা প্রশাসন, র‌্যাব ও সিভিল সার্জনের সমন্বয়ে একটি দল যশোর শহর ও মনিরামপুর অবৈধ ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিকে অভিযান চালায়। এ সময় তিনটি ক্লিনিকে অনিয়মের সত্যতা মেলায় মনোয়ারা ক্লিনিকের মালিক আব্দুল হাইকে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা এবং মনিরামপুর নার্সিং হোম এন্ড ডায়াগনষ্টিক ক্লিনিকের মালিক অলিয়ার রহমানকে এক লাখ ৩০ হাজার টাকা ও সিটি হাসপাতালের মালিককে দশহাজার টাকা জরিমানা দেয়া হয়।

Advertisement

জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৌম্য চৌধুরী জানান, ক্লিনিক তিনটিতে চিকিৎসার কোন পরিবেশ নেই। তথাকথিত মেডিকেল অফিসার ও অদক্ষ নার্স দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তারা চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসা করে আসছে। একটি ক্লিনিক পরিচালনার জন্য যা যা প্রয়োজন তার কোন কিছুই ক্লিনিক তিনটির মালিক দেখাতে পারেনি। তাদের বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় একজন মালিককে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা, অপর একটি ক্লিনিকে মালিককে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা জরিমানাসহ এক বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এছাড়াও শহরের সিটি হাসপাতালকে দশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে অদক্ষ নার্স ও চিকিৎসক ছাড়া যাতে তারা ক্লিনিক পরিচালনা করতে না পারে সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হবে।

র‌্যাব-৬ সিপিসি ৩ এর কোম্পানী কমান্ডার মেজর নাজমুস সাকিব জানান, স্বাস্থসেবার মান উন্নত করার লক্ষ্যে র‌্যাব অবৈধ ক্লিনিকের বিরুদ্ধে অভিযানে নেমেছে। তারই ধারাবাহিকতায় মনিরামপুরে অভিযান চালিয়ে দুটি ক্লিনিক মালিক এবং যশোর শহরের একটি ক্লিনিক মালিককে জরিমানাসহ ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে একজনকে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

Advertisement

অভিযানে সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ডা. ইফফাত জেরিন নূরানী ও ডা. সাফেদা আক্তার কেয়া।