বৈঠকে ওয়াগনার প্রধানকে যে বার্তা দিলেন পুতিন

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি ,সোমবার, ১০ জুলাই ২০২৩ : গত মাস বিদ্রোহে ব্যর্থ রাশিয়ার ভাড়াটে সেনার গ্রুপ ওয়াগনার প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন দেখা করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে। এমনটি নিশ্চিত করেছে ক্রেমলিন। সোমবার (১০ জুলাই) ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, প্রিগোজিন, যিনি ওয়াগনার ভাড়াটে গোষ্ঠীর প্রধান ছিলেন, মস্কোর বৈঠকে আমন্ত্রিত ৩৫ জনের মধ্যে তিনি রয়েছেন।

Advertisement

পেসকভ বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধ এবং বিদ্রোহের একটি `পর্যালোচনা ও মূল্যায়ন` দিয়েছেন পুতিন। ২৩ জুন শুরু হওয়া বিদ্রোহ মাত্র ২৪ ঘণ্টা স্থায়ী হয়। খবর বিবিসি

সংকট নিরসনে একটি চুক্তির মাধ্যমে প্রিগোজিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে নেয়া হয় এবং তাকে রুশ মিত্র দেশ বেলারুশে যাওয়ার প্রস্তাব দেয়া হয়। এর আগে ইউক্রেনে সেনা অভিযান পরিচালনা নিয়ে ওয়াগনার এবং রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মধ্যে প্রকাশ্যে দ্বন্দ্ব চরমে পৌঁছায়। প্রিগোজিন বারবার রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে তার গ্রুপকে পর্যাপ্ত গোলাবারুদ সরবরাহ করতে ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগ তোলেন।

কিন্তু সোমবার পেসকভ বলেছিলেন যে বিদ্রোহের পতনের পাঁচ দিন পরে ক্রেমলিনে আমন্ত্রিত কমান্ডারদের মধ্যে ওয়াগনার প্রধান ছিলেন। প্রেসিডেন্ট পুতিন সবার সামনে ওয়াগনারের কর্মকাণ্ডের একটি মূল্যায়ন ও পর্যালোচনা উপস্থাপন করেন।

এর আগে গত ২৩ জুন ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে রাশিয়ার ভাড়াটে সেনা ভাগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিনের কর্মকাণ্ডকে ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ বলে উল্লেখ করেন ভ্লাদিমির পুতিন।

তিনি বলেছেন, রাশিয়া ভবিষ্যতের জন্য লড়াই করছে এবং এখন আমাদের ঐক্য দরকার। যা ঘটছে তাকে তিনি বিশ্বাসঘাতকতা বলে অভিহিত করেছেন।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ভাগনার গ্রুপের যোদ্ধাদের উদ্দেশ্য করে বলেছিল যে, তারা প্রিগোজিনের অপরাধমূলক অভিযানে জড়িত ছিল এবং একটি সশস্ত্র বিদ্রোহে অংশ নিয়েছিল।

Advertisement

যোদ্ধারা আত্মসমর্পণ করলে মন্ত্রণালয় সবার নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেয়। দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন বলা হয়েছে, কিছু যোদ্ধা সেনাবাহিনীর অনুরোধে তাদের প্রাথমিক অবস্থানে ফিরে এসেছে।

এ দিকে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়, আজ শনিবার সকালে টেলিগ্রামে পোস্ট করা এক বার্তায় ভাগনার গ্রুপের প্রধান প্রিগোজিনের রুশ সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে তার বিদ্রোহের কথা উল্লেখ করে বলেছেন, ভাগনার গ্রুপের ভাড়াটে সৈন্যদের সবাই মরতে প্রস্তুত।

তিনি একটি অডিও বার্তায় বলেন, ‘আমরা সবাই মরতে প্রস্তুত। আমার বাহিনীর ২৫ হাজার সেনা মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত আছেন। রাশিয়ার জনগণের জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।’ প্রিগোজিন বলেন, তার দল এখন রোস্তোভ-অন-ডনের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থাপনার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু এবং ভ্যালেরি গেরাসিমভের সঙ্গে তাকে দেখার অনুমতি না দেওয়া হলে তিনি মস্কো পর্যন্ত ১ হাজার মাইল পদযাত্রা করবেন।

Advertisement