ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),বিনোদন প্রতিনিধি ,শনিবার, ০৮ জুলাই ২০২৩ : বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের ১ নম্বর ফ্লোর। বাংলা সিনেমার একটি গানের দৃশ্যধারণের প্রস্তুতি চলছে। হরেক রকমের আলোকসজ্জা আর শ্যুটিং ইউনিটের ব্যস্ততায় কলাকুশলীরা। প্রস্তুতি শেষে শুরু হলো গানের মূল দৃশ্যধারণ।
Advertisement
পরিচালক মেহেদী হাসান জানালেন, সিনেমার পুরোটার দৃশ্যধারণ হয়েছে একাধিক স্থানে। এখন শুধুমাত্র আইটেম গানের দৃশ্যধারণের জন্য ব্যবহার করছেন এফডিসি’র এই ফ্লোর।
বলা হয়- বাংলা চলচ্চিত্রের আঁতুড়ঘর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন, সংক্ষেপে বিএফডিসি। তবে সাধারণ মানুষের কাছে এফডিসি নামেই বেশি পরিচিত।
গেল কয়েক বছর ধরে এফডিসি অনেকটা নিরব, নিস্তব্ধতায় রুপ নিয়েছে। অথচ একটা সময় এফডিসি মানেই ছিলো লাইট ক্যামেরা একশন আর শিল্পী-কুশলীদের ব্যস্ততা। দিন-রাত চলতো বাংলা সিনেমার শুটিং।
ঝর্ণা স্পট, ক্যান্টিন চত্বর, গার্ডেন, মান্না ডিজিটাল কমপ্লেক্স চত্বর কিংবা কড়ইতলা মানেই শুটিং ইউনিটে মুখর থাকতো। শিল্পী, পরিচালক, প্রযোজক, কলাকুশলী আর ফ্লোরজুড়ে থাকতো আলো-আঁধারির খেলা।
Advertisement
ঝর্ণা স্পটের এই চিরচেনা ছবিগুলো যেন বাংলা সিনেমার কথা মনে করিয়ে দেয়। যে স্পটে শুটিং করার জন্য পরিচালকদের কয়েকমাস আগ থেকেই বুকিং দেয়া লাগত। পুরানো সেই স্মৃতির কথাই বলছিলেন, এক সময়কার জনপ্রিয় পরিচালক শাহ আলম কিরণ।
সত্তরের দশকে তার পরিচালনায় মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম সিনেমা ‘নিয়তির খেলা’। সিনেমাটি ব্যবসা সফল হলে প্রযোজকদের পছন্দের তালিকায় নাম ওঠে শাহ আলম কিরণ এর। পরবর্তীতে উপহার দেন সুজন সখী, কৈফিয়ত, আসামী বধূ, শেষ ঠিকানা, মনের মিলন, মাটির ঠিকানার মত জনপ্রিয় সব সিনেমা।
সবশেষ ২০১৪ সালে মুক্তি পাওয়া সিনেমা ‘৭১ এর মা জননী’। সিনেমাটি নির্মাণ করা হয় সরকারি অনুদানে। এরপর প্রযোজক সংকটে আর সিনেমা নির্মাণ করেননি গুণী এই পরিচালক।
Advertisement
শুধ শাহ আলম কিরণ-ই নন, বাংলা সিনেমা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন এমন অসংখ্য পরিচালক। সিনেমা বানাতে যারা লগ্নি করেন, সেই প্রযোজকও যেন এখন সোনার হরিণ! কিন্তু সিনেমা পাড়ার এমন বেহাল দশার কারণ কি?