৯ মাস ধরে ৪৪ পিয়নের মানবেতর জীবনযাপন

SHARE

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগপ্রাপ্ত ৪৪ জন পিয়ন ৯ মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না। বেতন না পাওয়ায় পরিবার পরিজন নিয়ে  তারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

এদিকে চাকরিতে যোগদানের পর থেকে বেতন না পাওয়ায় ওই ৪৪ জন পিয়ন কাম নৈশ্য প্রহরী গত রোববার মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার নিকট লিখিত আবেদন করেছেন বলে জানা গেছে।

উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্র মতে, মির্জাপুর উপজেলায় ১৬৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। ইতোমধ্যে ১১৩টি বিদ্যালয়ে ১১৩ জন পিয়ন কাম প্রহরী নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে আগের দুই ধাপে নিয়োগ পাওয়া ৬৯ জন নিয়মিত বেতন পাচ্ছেন। তবে গত বছরের এপ্রিল মাসে তৃতীয় ধাপে নিয়োগ পাওয়া ৪৪ জন গত ৯ মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না। ওই ৪৪ জনের নিয়োগ প্রক্রিয়া গত বছর ৩১ মার্চ শেষ হয়। ১ এপ্রিল থেকে তারা কাজে যোগদান করেন। উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞার কারণে তারা কেউই এখন পর্যন্ত বেতন পাননি। দীর্ঘ ৯ মাস বেতন না পাওয়ায় তারা পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন বলে জানা গেছে।

তেলিনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিয়োগ পাওয়া দফতরি কাম প্রহরী জসিম উদ্দিন, গ্রামাটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চন্দ্র কুমার মন্ডল, বাগজান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সুজন সরকার, সিঞ্জুরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রুবেল মিয়া, উপজেলা দেওড়ার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মো. সাইফুল ইসলাম ও হিলড়ার মো. নাছির মিয়াসহ অনেকেই বলেন, আমরা কাজ করে যাচ্ছি কিন্তু বেতন পাচ্ছি না। বেতন না পাওয়ায় পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছি।

একই কথা জানালেন মুশুরিয়াঘোনা ও ইচাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিয়োগ পাওয়া পিয়ন বিকাশ চন্দ্র মন্ডল ও সজীব দেওয়ান।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. খলিলুর রহমান বলেন, ওই ৪৪ জনের নিয়োগ প্রক্রিয়া গত বছর ৩১ মার্চ শেষ হয়। কিন্তু জনৈক এক ব্যক্তি এ চাকরির বিষয়ে হাইকোর্টে রিট করায় এদের বেতন আটকে গেছে। এ কারণে তারা কেউই এখন পর্যন্ত বেতন পাননি। মামলাটির সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত আমরা কিছু বলতে পারছি না।

মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাসুম আহমেদ আবেদন পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, রিটের বিষয়টি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাদের বিষয়ে কিছু করা যাচ্ছে না।