ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি,মঙ্গলবার, ২৭ জুন ২০২৩ : সৌদি আরবে আশি বছরের বেশি সময় ধরে হাজি ও কাফেলাদের তৃষ্ণা মেটাচ্ছে সড়কের পাশের জলাধার। আরবিতে যারা ‘আসবিলাহ’ নামে পরিচিত।
তীর্থযাত্রীদের হাঁটার রাস্তার পাশে স্থাপিত এমন সব জলাধার থেকে কাফেলারা পানি পান ও ব্যবহার করে। ‘সাবিল’ শব্দটি আরবি শব্দ ‘তাসবিল আল-মা’ থেকে এসেছে যার অর্থ বিতরণ করা বা পানি ঢালা।
Advertisement
আরব উপদ্বীপে স্বার্থহীনভাবে এমন দাতব্য পানির ব্যবস্থা বা উৎস নির্মাণ করার এই প্রবণতা পুরোনো ও ঐতিহাসিক। যা মূলত অন্যদের জন্য এবং বিশেষ করে হজযাত্রীদের জন্য নিরবচ্ছিন্ন পানি সরবরাহ নিশ্চিতে জোর দেয়। খবর আরব নিউজ।
সৌদি প্রেস এজেন্সির বরাতে এই প্রতিবেদনে বলা হয়, বিনামূল্যে পানির পয়েন্টগুলো, যা বিশ্রামের স্থান হিসেবেও কাজে লাগে, এদের অধিকাংশ মক্কা এবং জেদ্দার সংযোগকারী পুরানো সড়কে অবস্থিত। এমন সব পানির পয়েন্টের মধ্যে সাবিল আল-হুদায়বিয়া, সাবিল হাদা এবং সাবিল উম্ম আল-জুদ অন্যতম।
Advertisement
১৯৪২ সালে সৌদি বাদশাহ আবদুল আজিজ এসব পানির উৎস সংস্কার করেছিলেন। প্রাচীন ইসলামি স্থাপত্যের শৈলীতে স্থানীয় উপকরণ এবং ঐতিহ্যবাহী নকশা ব্যবহার করে এমনসব জলাধার নির্মাণ করা হয়।
আয়তকার এই উৎসগুলোর মধ্যে পিরামিড আকৃতির সম্মুখভাগের উপরে শিলালিপিতে খোদাই করে অর্থসহ ‘বিসমিল্লাহ’ লেখা রয়েছে। যার অর্থ ‘পরম করুণাময়, পরম করুণাময় আল্লাহর নামে’ শুরু করলাম।
Advertisement
সাবিল আল-হুদায়বিয়াতে পানি আসে প্রায় ৩০০ মিটার দূরে আল-হুদায়বিয়া কূপের সাথে সংযুক্ত একটি খাল থেকে। সাবিল হাদা এবং সাবিল উম্ম আল-জুদ নামের পানির পয়েন্টে কাছের কয়েকটি কূপ থেকে পানি সরবরাহ করা হয়।