হবিগঞ্জে রেস্তোরাঁয় খাবার সরবরাহ করছে রোবট (ভিডিও)

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),হবিগঞ্জ প্রতিনিধি ,শনিবার, ২৪ জুন ২০২৩ :হবিগঞ্জ জেলা শহরের বদিউজ্জামান খান সড়কে ‘কিচেন-২০’ রেস্তোরাঁ। সেখানে ভোক্তাদের দেওয়া হচ্ছে রোবটিক সেবা। আপনি এ রেস্তোরাঁয় খেতে গেলেন। মেন্যু দেখে দিলেন অর্ডার। দেখবেন খাবারের ট্রে নিয়ে টেবিলের দিকে এগিয়ে আসছে রোবট।

Advertisement

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নারী আকৃতির রোবটটি ক্রেতার কাছ থেকে কোনও অর্ডার নেয় না। কেবল রান্নাঘর থেকে তৈরি খাবার টেবিলে পৌঁছে দেয়। নির্দিষ্ট লাইন (ট্র্যাক) ধরে চলাচল করে এটি।

রোবটটি খাবার নিয়ে ভোক্তার টেবিলের সামনে গিয়ে ইংরেজি ভাষায় স্বাগত জানায়। এরপর ট্রে থেকে খাবার নামিয়ে নিতে বলে। পরে হাতে থাকা নীল সুইচে চাপ দিতে অনুরোধ করে। এতে চাপ দিলে রোবটটি ফিরে যায় রান্নাঘরে।

‘কিচেন-২০’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক সালেহ চৌধুরী জানান, সিলেটের দুজন প্রকৌশলী প্রায় তিন মাসে এই রোবটটি বানিয়েছেন। একে পুতুলের মতো রূপ দেওয়া হলেও এর ভেতরের পুরোটাই যন্ত্র। এটি ব্যাটারিচালিত। নিয়ন্ত্রণ হয় রান্নাঘরে থাকা সুইচের মাধ্যমে। রোবটটির চলাচলের জন্য একটি ছোট রেল সড়ক তৈরি করা হয়েছে রেস্তোরাঁয়। যা দিয়ে খাবার পৌঁছানো হয় ভোক্তার টেবিলে।

রেস্তোরাঁটিতে একসঙ্গে ১০০ জন বসে খাবার খেতে পারেন। এর নাম ‘কিচেন-২০’ রাখা হলেও স্থানীয়ভাবে এটি ‘রোবট রেস্তোরাঁ’ হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছে। রোবটটির কার্যক্রম দেখতে ও সেবায় নতুনত্ব পেতে ভোক্তারা সেখানে ভিড় করছেন নিয়মিত।

Advertisement

এ রেস্তোরাঁয় খেতে আসা হবিগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মো. বদরুল আলম বলেন, ‘রোবট রেস্তোরাঁর কথা শুনে মেয়েদের নিয়ে খেতে এসেছি। সব কিছু দেখে ভালো লেগেছে। রোবটের সেবায় খাবার খেয়ে এ প্রজন্ম আগামীর প্রযুক্তি নির্ভর পৃথিবীর কথা ভাবতে আগ্রহী হবে।’

জানা গেছে, সিলেট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে পাস করা ডিপ্লোমা প্রকৌশলী অর্পণ চন্দ ও নীহাল চন্দ অঙ্কুর রোবটটি বানিয়েছেন।

Advertisement

অর্পণ চন্দ বলেন, ‘দীর্ঘ তিন মাস আমরা দুজন এটি বানাতে কাজ করেছি। এমন কাজ দেশে প্রথম। এই প্রজেক্ট আমাদের চ্যালেঞ্জ ছিলো। রোবট ট্রে নিয়ে কি চলতে পারবে? আসলেই কি দাঁড়াতে পারবে? সফল হতে পারব কি?’

তিনি আরও বলেন, ‘সুন্দর একটি বডি তৈরি, রোবটের হাত বাঁকা করাসহ আনুষঙ্গিক কাজে অনেকবার আটকে যেতে হয়েছে। পরে সমাধানও বের করেছি। অবশেষে সফল হয়েছি।’