ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),বিনোদন প্রতিনিধি,শুক্রবার, ২৩ জুন ২০২৩ : মডেল-অভিনেত্রী জেবা জান্নাত। প্রয়াত রাজনীতিবিদ জয়নাল হাজারির ফেসবুক টক শোতে প্রথমবার হাজির হন তিনি। এরপর টিকটকে প্রথম নিজের পরিচিতি ছড়ান। সেখান থেকে নাম লেখান নাটকে। পরবর্তীতে টেলিভিশন নাটকে নিয়মিত হন জেবা।
ছোট পর্দার অনেকের সঙ্গে কাজ করেছেন জেবা জান্নাত। ‘ক্রস কানেকশন’ নাটকে আফরান নিশোর সঙ্গে অভিনয় করেন। এ নাটকের একটি ভিডিও ক্লিপ নেটদুনিয়ায় ভাইরাল হয়। তা ছাড়া ‘পার্টনারশিপ’, ‘আনলিমিটেড’, রিকশাওয়ালার প্রেম’সহ বেশ কিছু নাটকে অভিনয় করেন।
সম্প্রতি অসহযোগিতা ও অসদাচরণের কারণে উঠতি অভিনয়শিল্পী জেবা জান্নাতকে নিষিদ্ধ করে টেলিভিশন নাটক নির্মাতাদের সংগঠন ডিরেক্টরস গিল্ড। নির্মাতা রাশেদা আক্তার লাজুকের অভিযোগের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেয় সংগঠনটি। তারপর থেকে টানা আলোচনায় রয়েছেন জেবা।
তবে জেবা জান্নাতের কণ্ঠে ভিন্ন সুর। তিনি জানান, রাশেদা আক্তার লাজুকের স্বামী পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন দোদুল জেবা জান্নাতকে কুপ্রস্তাব দিয়েছিলেন। সেই প্রস্তাব গ্রহণ না করার কারণেই তার পেছনে লেগেছেন তারা। জেবা এও জানান, এ ঘটনা এক বছর আগের। এতদিন পর বিষয়টি সামনে আনার উদ্দেশ্য বুঝতে পারছেন না তিনি।
জেবা জান্নাত গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বুঝতেছি পারছি না আমি কেন নিষিদ্ধ হলাম। স্পষ্টভাবে তারা নিষিদ্ধের কোনো কারণ জানায়নি। আমি নতুন এসেছি বলেই তারা আমাকে নিষিদ্ধ করল, আর আমি নিষিদ্ধ হয়ে গেলাম!’
জেবা বলেন, ‘ঘটনাটা এক বছর আগের। এত দিনে এই ঘটনাটা তারা সামনে আনলেন। ওই সময় সাজ্জাদ হোসেন দোদুলের কয়েকটা কাজ করেছিলাম। এর পরই ওনার স্ত্রী লাজুক ভাবির একটা সিরিয়ালে কাজের কথা বলেন, তো আমি কাজটা করতে রাজি হই। কিন্তু কাজটা করতে গিয়ে কিছু সমস্যাও ফেস করি। যেমন: অনেক রাত পর্যন্ত শুটিং করলেও তারা আমাকে কোনো ধরনের ট্রান্সপোর্ট দিতেন না।’
ট্রান্সপোর্ট সুবিধা না থাকার কারণে নির্মাতা লাজুকের সিরিয়ালের কাজ ছেড়ে দেন জেবা। তা উল্লেখ করে এই নবাগতা বলেন, ‘ওই সময়ে নিয়ম ছিল রাত ১১টার পর শুটিং করা যাবে না। তারপরও তারা গভীর রাত পর্যন্ত শুটিং করাতেন। ওনারা চাইলে সন্ধ্যারাতেও শুটিং করতে পারতেন। যাই হোক, প্রথম কয়েক দিন কাজ করলেও পরে ট্রান্সপোর্ট অসুবিধার কারণে আমি তাদের বলি, আমি এই কাজটা আর করতে পারব না। তারপর দুই-তিন দিন শুটিংয়ে যাইনি। এরপর তারা আমাকে বুঝিয়ে আবারো শুটিংয়ে ফেরান এই বলে, তারা আমাকে দ্রুত ছেড়ে দেবেন। কিন্তু তারা কথা রাখেননি।’
‘শেষের দিকে একদিন আমার শুধু একটা দৃশ্য বাকি ছিল। কিন্তু তারা ট্রান্সপোর্ট না পাঠানোর কারণে আমি যেতে পারিনি। এ কারণে তারা আমাকে থ্রেট দেন যে আমার মিডিয়ায় কাজ করা তারা বন্ধ করে দেবেন। এই সব কারণে আমি পরে ওনাদের সঙ্গে কাজ করা বন্ধ করে দিই।’ বলেন জেবা।
লাজুকের স্বামী সাজ্জাদ হোসেন দোদুল জেবা জান্নাতকে অনৈতিক প্রস্তাব দেন। তা উল্লেখ করে জেবা বলেন, ‘ওই ঘটনার পর লাজুক ভাবির বর আমাকে ফোন দিয়ে বলেন, আমি যদি ওনার সঙ্গে ফ্রেন্ডশিপ করি বা প্রেম করি তাহলে সব কিছু ঠিক করে দেবেন। ওনার হাজব্যান্ড যে বাজে অফার দিয়েছিলেন তা আমি অ্যাকসেপ্ট করিনি। এর পর ‘হাজব্যান্ড-ওয়াইফ’ মিলে আমার পেছনে লেগেছেন।’
শুধু জেবার সঙ্গে নয়, এমন আচরণ তারা আরো অনেকের সঙ্গেই করেছেন বলে অভিযোগ করেন জেবা। তবে জেবার সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নির্মাতা সাজ্জাদ হোসেন দোদুল।