ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ভৈরব প্রতিনিধি,বৃহস্পতিবার, ০১ জুন ২০২৩ : ছয় বছর পালিয়ে থেকেও শেষ রক্ষা হলো না একাধিক প্রতারণার মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি শফিক মনিরের। বুধবার (৩১ মে) সকাল ৯টার দিকে ঢাকার উত্তরা পূর্ব থানার গেইট থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে ভৈরব থানার পুলিশ।
শফিক মনির ভৈরব শহরের ৭নং ওয়ার্ডের মৃত. জয়নাল আবেদীনের ছেলে।
Advertisement
তার বিরুদ্ধে ভৈরব থানায় প্রতারণা, চেকজালিয়াতি, অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মোট ১৩টি মামলা রয়েছে। তার মধ্যে ৯টি মামলায় ২ থেকে ৫ বছর করে কারাদণ্ড রয়েছে তার বিরুদ্ধে। কিশোরগঞ্জের বিচারিক আদালতে সাজাপ্রাপ্ত চলমান ৪টি মামলায় হাজিরা না থাকায় গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে ভৈরব থানায়।
জানা যায়, ১৯৯৮ সালে তিনি গ্রামীণ ফোনের প্রথম ডিলারশিপ পান। বেশ কয়েক বছর দাপটের সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনা করেন। ওই সময় তিনি স্থানীয় আল আরাফা ব্যাংক থেকে কয়েক কোটি টাকা সিসি লোন নেন। এক সময় নানা কারণে তার ব্যবসা দেউলিয়া হয়ে পড়ে। ওই সময় তিনি মানুষের নিকট থেকে টাকা ধার নেয়। আবার কারও কারও সঙ্গে জমি বিক্রি নিয়েও প্রতারণা করেন। একসময় টাকা না পেয়ে ভুক্তভোগীরা তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলায় একটার পর একটা সাজা হতে থাকলে তিনি পালিয়ে যান এলাকা থেকে। এরইমধ্যে তার পরিবার পরিজনদের আমেরিকা পাঠিয়ে দেন তিনি। পরে তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে তার নতুন ফোন নাম্বার সনাক্ত করে পুলিশ। পরে একনারী পুলিশ সদস্য একমাস শফিক মনিরের সাথে প্রেমের অভিনয় করে তাকে জালে আটকায়।
Advertisement
সকালে তার সাথে দেখার করার কথা বলে ওই নারী পুলিশ সদস্য ভৈরব থানার অফিসার ফোর্স ওই এলাকায় ওঁৎ পেতে থেকে তাকে গ্রেফতার করে। দীর্ঘ ৬ বছর পালিয়ে থাকার পর পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মাকছুদুল আলম বলেন, তাকে ধরতে আমাদের অনেক বেগ পেতে হয়েছে। প্রযুক্তির সহায়তায় তার নাম্বার সনাক্ত করা হয়। তার দুর্বল দিকটা আমরা কাজে লাগাই। একজন নারী পুলিশ সদস্যের মাধ্যেমে প্রেমের ফাঁদে ফেলে তাকে আজ সকালে ঢাকা উত্তরা থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই। তার বিরুদ্ধে ১৩টি চেক জালিয়াতি ও প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের মামলা রয়েছে। ৯ টাতে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয়েছে। ৪টি চলমান এবং ৯টি গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে ভৈরব থানায় তার বিরুদ্ধে।